আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখে সাধারণ ছুটির ঘোষণা থেকে এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল প্রকার উৎপাদনশীল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও খাদ্য সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মারাত্বক অস্থিতিশীলতা চলছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা কারোনার মহামারীতে ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো হতে পারছে না।
বিডিআর হাট ও বড় মসজিদ সংলগ্ন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী ফরহাদ সোহেল, আনোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কোন কোন দিন দোকান খুলে একটা মালও বিক্রি করতে পারে না। তারা জানায় করোনা প্রাদুর্ভাবের পরে হয়তো এ মন্দা অবস্থা থাকবে না। সেই সাথে বেড়েছে ভিক্ষুক ও সাহায্য প্রার্থীর সংখ্যাও। সকাল ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী ও আগত যাত্রীরা অনেক সময় গাড়িতে উঠানামা করতে গিয়ে ভিক্ষুক ও সাহায্য প্রার্থীদের হাকডাকে বিরক্তি বোধ করতে হয়। কাপড় ব্যবসায়ীদেরও বিক্রি নেই। দোকান ও তাদের গোডাউনে কাপড় ভড়ে রয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় কাপড় বাজার দখলে নেয়ায় দেশি কাপড়ের কদর কমেছে। বর্তমান সরকারের আমলে নিম্ন ও বেকারত্বের স্বীকার সাধারণ মানুষ যেন স্বপ্ন দেখার কথা ভাবছে। কেউ কেউ উপহাস করতে শুরু করছে। কারণ নিম্ন আয়ের মানুষ চায় তাদের খাদ্য, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা। এর কোনটিই নিরাপত্তা নেই বরং বেড়েছে খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয়। ফলে দিন যাচ্ছে আর বেকারত্ব ও ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ী মহল এ হতাশা কবে নিরসন হবে তা নিয়ে প্রহর গোনা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন।