সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা, চিনি এবং গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা ও ভারতীয় গাঁজা জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় গোড়কমন্ডল বিওপির আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার গোড়কমন্ডল নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তিতে আসতে দেখে টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তি সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে তল্লাশি করে ভারতীয় গাঁজা ৪.২কেজি জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ২১টা ৩০ঘটিকায় দিঘলটারী বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার নামাটারি নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তিদেরকে বাই সাইকেল যোগে আসতে দেখে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিদ্বয় বাই সাইকেল ফেলে দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে তল্লাশি করে ভারতীয় জিরা ১শত ৩৮কেজি, ভারতীয় চিনি ৫৫কেজি এবং বাই সাইকেল ২টি জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ভারতীয় গাঁজা ৪.২কেজি, যার সিজার মূল্য ১৪হাজার ৭শত টাকা, ভারতীয় জিরা ১শত ৩৮কেজি, যার সিজার মূল্য ১লক্ষ ৩৮হাজার টাকা, ভারতীয় চিনি ৫৫কেজি, যার সিজার মূল্য ৬হাজার ৬শত টাকা, বাই সাইকেল ২টি, যার সিজার মূল্য ১০হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ১লক্ষ ৬৯হাজার ৩শত টাকা। এছাড়াও চোরাচালান চক্রের সংশ্লিষ্ঠ চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।