সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গাঁজা এবং ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ২জন আসামী আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপিওপি ২টি বিশেষ টহলদল অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গাঁজাসহ ১জন এবং ভারতীয় টাপেল ট্যাবলেটসহ ১জন আসামী আটক করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টা ৩০মিনিটে শিমুলবাড়ী বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার কুরুষা ফেরুষা নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার জয়রী গ্রামের মৃতঃ আসরাফ আলীর ছেলে মোঃ সোহেল (৩০)কে ১.৩কেজি গাঁজাসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৭টায় বালারহাট বিওপি’র আওতাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার বালাতাড়ি নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার চর গোরকমন্ডল গ্রামের মৃত: হবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ মদর আলী (৪০)কে ৪০পিচ ভারতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ভারতীয় গাঁজা ১.৩কেজি, যার সিজার মূল্য ৪হাজার ৫শত ৫০টাকা এবং ভারতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৪০পিচ, যার সিজার মূল্য ৪হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৮হাজার ৫শত ৫০টাকা। এ ঘটনায় আটকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়েরপূর্বক মাদকদ্রব্যসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদক চক্রের সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।