সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাগভান্ডার বিওপির একটি টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় স্বর্ণ কাতান শাড়ি জব্দ করেছে। এ অভিযানের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান দমনে বিজিবির দৃঢ় অবস্থান আরও সুস্পষ্ট হয়েছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চোরাকারবারীরা ভারতীয় শাড়ির একটি বড় চালান সীমান্ত দিয়ে পাচার করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা ৫০মিনিটে বাগভান্ডার বিওপির আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার পূর্ব ভোটহাট এলাকায় টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় সীমান্ত অতিক্রমকারী সন্দেহজনক কয়েকজন ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা সাথে থাকা মালামাল ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২শত ৭২টি ভারতীয় স্বর্ণ কাতান শাড়ি জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে,
জব্দকৃত ২শত ৭২টি শাড়ির সিজার মূল্য ২৭লক্ষ ২০হাজার টাকা। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত চোরাচালান চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, আন্তঃসীমান্ত চোরাচালানকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।
তিনি স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
সফল এ অভিযানে বিজিবি সদস্যদের সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কৌশলগত দক্ষতা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। চোরাচালান মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।