সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু ও ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তিতে ২টি বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু ও ফেন্সিডিল জব্দ করেছে। এসব অভিযানে বিজিবি সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমে তাদের অটুট অবস্থানের প্রমাণ উপস্থাপন করেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়—চোরাকারবারীরা ভারতীয় গরু বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টা ৪০মিনিটে দুর্গাপুর বিওপি-সংশ্লিষ্ট লালমনিরহাট জেলার আদিতামারী থানার আদর্শপাড়া নামক এলাকায় টহল পরিচালনার সময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে গরুসহ কয়েকজন চোরাকারবারী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারীরা গরু ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ১২টা ৩০মিনিটে গংগারহাট বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার মোহরটারী এলাকায় টহল পরিচালনাকালীন টহলদল চোরাকারবারীদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে তল্লাশি করে ভারতীয় ফেন্সিডিল ৪৫টি বোতল বোতল জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরু ২টি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, মাদকদ্রব্য ভারতীয় ফেন্সিডিল ৪৫টি বোতল, যার সিজার মূল্য ১৮হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ২লক্ষ ৬৮হাজার টাকা।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের পরিচয় শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।