শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিম্মায় থাকা অবস্থায় মৃত্যু ঠেকাতে আইন প্রণয়ন করা হলেও বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা থেমে নেই। তবে ওই আইনটি অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। শুক্রবার লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

 

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন–২০১৩ অনুযায়ী, এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করার সুযোগ আছে, কিন্তু পরিবার মামলা করেনি। এর কারণ যে ভয় অথবা চাপ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আইন থাকলেও এর প্রয়োগ না থাকার বড় দৃষ্টান্ত এসব ঘটনা।

 

এখানেই কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা, যা দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এ ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর পাশে না দাঁড়ালে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাজ কী? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থাকলেও এমন অমানবিক ঘটনায় তাদের সেই অর্থে কিছু করণীয় নেই। কারণ, আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার এখতিয়ার মানবাধিকার কমিশনকে দেওয়া হয়নি। লম্বা প্রক্রিয়া শেষে কমিশন হাইকোর্টে রিট আবেদন করতে পারে, তবে সেই মামলা চালানোর মতো সক্ষমতাও কমিশনের নেই।

 

শুক্রবার লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদহপাড়া গ্রামের হিমাংশু চন্দ্র রায় (৩৫) হাতীবান্ধা থানার হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে।

 

নির্যাতন এবং অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইন করার সনদে বাংলাদেশ সই করে ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আইনটি পাস হয়, যার মূল কথা গ্রেপ্তারের পর কোনো আসামির মৃত্যু হলে মামলা করা যাবে এবং ঘটনার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ওপর বর্তাবে।

 

দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু খুব সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

 

যেকোনো পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহিষ্ণু আচরণ কাম্য নয়। আইনের মধ্যে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে দায়িত্ব পালন করে, সে জন্য সরকারকেও কড়া বার্তা দিতে হবে। পুলিশের ‘চেইন অব কমান্ডে’ বিদ্যমান ত্রুটি-বিচ্যুতি বা দুর্বলতা দূর করতে হবে। নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবার মানসিকতা বন্ধ করলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone