শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সেই আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাটে ডান চোখ তুলে নিয়েছে, এখন বাম চোখও উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হেলাল হোসেন কবির-এঁর কবিতা গুচ্ছ

হেলাল হোসেন কবির-এঁর কবিতা গুচ্ছ

কবিতা (১)

আমি একদিন একা হয়ে যাবো

 

আমি একদিন একা হয়ে যাবো

উন্মুক্ত উদ্যানে পড়ে থাকবে লাশ

কিছুক্ষণ ভীর করবে ডানা ছাড়া পাখিরা।

 

একটু কান্না করে কংক্রিটে চাপা দিবে

আড়াল করে রাখবে আমার কলিজা।

 

হয়তো-

দীর্ঘ জীবনের ন্যায্যতা দাবী করে বসবে

আমার প্রিয়তমা।

 

বহু কাল থেকে যাবো

সভ্যতার কারিগরের কাছে।

 

আবারো আসবে ভবিষ্যৎ

সেখানেও কি প্রিয়তমা বদল হবে?

নাকি বলবে তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি।

 

কবিতা (২)

ট্রিগার

 

ফাঁকা বুক চেপটা হয়ে গেছে

ফারা জামার বোতাম নেই বলে

রক্ষীত দেহ অগোছালো।

 

প্রতিদিন গুলি ছুঁড়েন আপনি,

হয়তবা কখনো প্রশ্ন করিনী,

এতো জোর কোথায় পান।

 

জামার সূতো যারা বুনেছিল

তাদেরকে কখনও মনে রাখেনা

মনে রাখে উজ্জ্বলতা আর দাম।

 

তাই বলে-

আঙ্গুলের কারুকাজ ভুলে গেলে চলবে না;

এখন হয়তোবা-

বেদামি মনে হয় আপনার কাছে!

 

তরতাজা ফুলের পাপারি  ঝরে যায়,

তবুও ফুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি কেউ,

স্নেহের প্রতিশব্দ খুজে ভুলে গেছেন-

 

প্রেম ভুলে গেছেন!

আবেগ ভুলে গেছেন!

মায়া-মমতা ভুলে গেছেন!

 

কেবল ট্রিগারেই হাত রেখে

মনোযোগ রক্ত মাখা হৃদয়ের দিকে

প্রাণ ঝরে যায় আঙ্গুলের টিপে।

 

প্রেমিকের বোবা কান্না

মনের ভিতর হত্যা ডাক

চিৎকার করেও–

ট্রিগারের টার্গেট এড়ানো গেলোনা।

 

কবিতা (৩)

… !!!!! …

রাষ্ট্র যখন মীর জাফর

সাংবাদিক তখন গুপ্তচর!

 

ট্যাক্সের টাকায় ফুলাও গাল

আমার রক্ত তো নয় লাল!

 

মালিক পক্ষ তোমরাই

আমরা মানচিত্র কামরাই!

 

নির্যাতন দেখলে কথা দাও

প্রাণক্ষয়ে করি হাউ মাউ!

 

তোমার নলে বারুধ ভরা

আমার কলম কালি চরা!

 

দমন পীড়নে তোমার চেতনা

মানচিত্রে হাতকড়ার যাতনা!

 

দিয়ে যাও অপবাদ

আর করবোনা প্রতিবাদ!

 

তোমরা বড় স্বৈরাচার

আমরা হলাম বালুচর!

 

কবিতা (৪)

বৃক্ষের মতো বেড়ে উঠি

 

দু’পাতায় ভর করে মৃদ হাসি নিয়ে নিজেকে তুলে ধরা,

কিছু দূর এগুতেই বাঁকা মেরুদণ্ডে খুঁটি বসানো হয়;

 

তরতাজা যৌবন নিয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় বেড়ে উঠতে!

লতাপাতা ভরে যেতে থাকে মানবতার চারপাশে।

 

আস্তে আস্তে ডাল পালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে লম্বা হতে হয়।

চারিদিকে তৃপ্তির নিঃশ্বাস তবুও অশুভ শক্তি ভর করে।

 

ফুল দোল খেতে খেতে পাতার আড়ালে ফল ধরে

দূর থেকে কেউ ঢিল ছুরে ফলকে আঘাত করে।

 

পরগাছা ভীর জমায় নিজের স্বার্থ মানিয়ে নিতে।

গাছের উঁচু ডাল পালা জুরে পাখিদের নীড়।

 

ঝড় এলেই গাছকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়,

স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা গাছটির স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।

 

শত আঘাতে ব্যতিত্ব হয়ে শোকাহত হয়ে পরে;

হয়তোবা নিজের মতো করে নতুন করে বাঁচতে চায়।

 

বেড়ে উঠা, ফুল, ফল, আশ্রয়, সবকিছু আগের নিয়মে আর চলবেনা।

মনের মাঝে অতৃপ্তি যাতনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায় ফেলে আসা স্মৃতি।

 

সমাজের আশ্রয় গাছ নামের মানুষটি-

আমাদের দিকে প্রতিনিয়ত মুখ ফিরিয়ে নেয় এমনি করেই।

 

ভাবতে হয়তো ভীষণ খারাপ লাগে

সাহায্য করার মানুষগুলো পাল্টে যায়।

 

কিন্তু আমরা গাছটির বেড়ে উঠার গল্পটা জানিনা

তাই সংকল্পের তেঁজ অন্য রুপে ঘুরে দারায়।

 

কবিতা (৫)

খুঁজি

 

প্রতিনিয়ত মৃত্যদেহ ভেসে আসে সেখানে ধর্ম খুঁজি

শ্মশানের আগুনে অথবা জানাজায় গিয়ে একতা খুঁজি

মাঝে মাঝে বেহেস্ত আর নরক খুঁজি

নিজের মতো করে দেয়া নেয়া খুঁজি

প্রেম আর মানবতার চাবিকাঠি খুঁজি

সাদা কালোর মাঝে রক্তের রং খুঁজি

আবেগ দিয়ে বিবেকের বিবেচনা খুঁজি

চারিদিকে মানুষ জাতির মনুষ্যত্ব খুঁজি…

 

খুঁজি করোনার মৃত্যুদেহের আমানত

খুঁজি তাদের জোয়ার ভাটার সময়কাল

খুঁজি কাছে না থাকা স্বজনদের প্রশ্নের উত্তর…

 

কবিতা (৬)

বুক পকেটের জানাজা

 

আমার বুকের ভিতর প্রতিনিয়ত

গায়েবি জানাজার ডাক আসে

কবরের পীড়ামিড জম্ম হয়।

 

বেদনার নামে মানুষের ভীর জমতে থাকে।

কেউ কেউ স্বান্তনার নামে নুনের ছিটা দেয়।

 

বুক পকেটের কুকুরটা ডুকরে কাঁদে।

সামনে কিছু কুকুর ঘোড়া ফেরা করে।

 

জীবন বদল করতে এসে জানাজা অংশ নেয়।

বুকের পাজর গুলো মরমর শব্দ করে।

 

আমি দেখি চিৎকার করি

কিন্তু কেউ শুনতে পারেনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone