শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
লালমনিরহাটে কৃষি পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির কদর বাড়ছে

লালমনিরহাটে কৃষি পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির কদর বাড়ছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলায় কৃষি পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির কদর দিনের পর দিন বাড়ছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে সময়ের চাহিদা মেটাতে মানুষ একেক সময় একেক পেশা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও লালমনিরহাট জেলায় ঘোড়ার গাড়ির কথা খুব একটা ভাবার বিষয় ছিল না। এ জেলায় একমাত্র ঐতিহ্যবাহী বাহন বলতে ছিল গরু ও মহিষের গাড়ি। গরুর গাড়িকে নিয়ে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা কতইনা বন্দনা করেছেন। গরু ও মহিষের গাড়ির চাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল হাজারও মানুষ। অনেক স্থানেই এটি শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কিন্তু কালের চাহিদা মেটাতে গিয়ে গরু ও মহিষের গাড়ি এ জেলা থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

 

ঘোড়ার গাড়ি লালমনিরহাট জেলায় কৃষি পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির কদর বাড়ছে বিগত কয়েক বছর থেকে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ মালামাল পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন শুরু হয়। ভ্যান সদৃশ গাড়ির সামনে ঘোড়া জুড়ে দিয়ে বাহনটি চলে। তিস্তা, ধরলা, রত্নাই নদীর চরসহ প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তা ঘাটের অভাবে যেখানে কোনো যান্ত্রিক বাহন চলাচল করে না সেখানে এই ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র ভরসা। জমি থেকে উৎপাদিত ফসল গোলায় নিয়ে যেতে জুড়ি নেই বাহনটির। দিন দিন ঘোড়ার গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব এলাকাগুলোতে।

 

সরেজমিনে লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ক্ষেত থেকে কৃষি পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি পণ্য পরিবহনে অনেক ঝক্কি-ঝামেলার কারণে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ঘোড়ার গাড়ি। কৃষি পণ্য নিয়ে তিস্তা, ধরলা, রত্নাই নদী পার হয়ে আসছে ঘোড়ার গাড়ি কিংবা চর পেরিয়ে কেউবা কৃষি পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন তিস্তা, ধরলা, রত্নাই নদীর ওপারে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলায়।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ঘোড়ার গাড়িতে কৃষি পণ্য, শাক, সবজি পরিবহন হচ্ছে।

 

জানা যায়, গাড়ি তৈরির খরচ ও ঘোড়ার দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকায় অনেকেই এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। গাড়ি চালানোর উপযোগী একটি ঘোড়া ১৫হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় বলে তারা জানান।

 

এ পেশাকে পাকাপোক্ত করতে চরাঞ্চলে অনেকে ঘোড়া পালনও করছেন।

 

ঘোড়ারগাড়ি চালক জানান, মালামাল বহন করে প্রতিদিন ৫শত থেকে ৭শত টাকা আয় হয়। ঘোড়ার খাদ্যের যোগান দিয়েও এতে তার সংসার চলে। গরুর চেয়ে ঘোড়ার দাম কম এবং তেমন ঝুঁকি নেই বলেও জানান।

 

আধুনিকতার ছোঁয়ায় লালমনিরহাট জেলা থেকে ঐতিহ্যবাহী গরু ও মহিষের গাড়ি বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হলেও তার স্থান দখল করে নিয়েছে এই ঘোড়ার গাড়ি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone