শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয় লালমনিরহাটে পারফেক্ট ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (পিআইএসটি)র অভিভাবক সমাবেশ ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী বাদীর বাড়ীতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লালমনিরহাটে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের পর ৩ সাংবাদিককে হামলা লালমনিরহাটে কচুর আবাদ বেড়েছে লালমনিরহাটের বিডিআর রোড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নব গঠিত কমিটি’র অভিষেক সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের আইটি বিশেষজ্ঞ নুরুন নবী সরকার পলাশ-এঁর ইন্তেকাল লালমনিরহাটে গাছে গাছে জাম্বুরা ধরেছে লালমনিরহাটে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ/২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে পরীক্ষা দিতে এসে সন্তান প্রসব করলেন হাজেরা খাতুন
লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মৌমাছি ও মৌচাক!

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মৌমাছি ও মৌচাক!

লালমনিরহাটের গ্রামীণ জনপদে এক সময় অনেক মৌমাছির মৌচাকের দেখা মিললেও এখন তা প্রায় অধরা। লালমনিরহাট জেলা শহরের মতো গ্রামগঞ্জেও নগরায়ন-শিল্পায়নের কারণে এবং বড় বড় গাছ ঝোপ-জঙ্গল উজার করার ফলে প্রজননের পরিবেশ ও আবাসন সমস্যার কারণে মৌমাছি ও মৌচাক প্রায় বিলুপ্তি হচ্ছে। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে।

 

রবি শস্য ও মৌসুমী ফুলে হাজারও মৌমাছির বিচরণসহ ফুল থেকে রস আহরণের প্রতিযোগিতা দেখা যেত এক সময়। মুখে রস নিয়ে মৌমাছি যায় তার আপন গন্তব্যে। লালমনিরহাট জেলার মানুষের কাছে যার নাম মৌচাক বলে পরিচিত। প্রাকৃতিক দূর্যোগ, অধিক তাপমাত্রা, চাক বাঁধার প্রতিকূল পরিবেশ ও যত্রতত্র অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার বন-জঙ্গল উজার করার ফলে মৌমাছি বিলুপ্তির প্রধান কারণ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি, চরখাটামারী গ্রামের এস এম হাসান আলী বলেন, এখন আর মৌচাক তেমন দেখা যায় না। ভালো ফল ও ফসল উৎপাদনসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছি সংরক্ষণ করা জরুরী।

 

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির মৌমাছির দেখা মেলে। পাহাড়িয়া, ক্ষুদে ও খুড়েল। বড় বড় গাছ ও দালানের কার্নিশে পাহাড়িয়া মৌমাছি চাক বাঁধে। খুদে মৌমাছি বন-বাদাড়ে ছোট ছোট গাছে এবং খুড়েল বিভিন্ন বড় বড় গাছের কুঠুরিতে বাসা বাঁধে। প্রকৃতির মাঝ থেকে বড় বড় গাছ দিন দিন কেটে ফেলা, বড় ভবন মালিকরা ভীতি থেকে মৌমাছি তাড়িয়ে দেওয়া, অদক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে (যারা চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে) অপরিকল্পিতভাবে মধু সংগ্রহ করার সময় ধোঁয়া ও আগুনের আঁচ দিয়ে মৌমাছি তাড়াতে গিয়ে তা মেরে ফেলার কারণেই আজ প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি। মৌমাছি বিলুপ্ত হতে থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, মৌমাছি ও পোকা মাকড় পরাগায়নে সহায়তা করে। ফুলের রস আহরণ করে জীবন ধারণ করে এবং উপহার দেয় মধু। এগুলো না থাকলে প্রাণি ও উদ্ভিদ জগত ধ্বংস হবে। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিরও ক্ষতি হবে। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরাগায়ন প্রক্রিয়া খুবই দরকারি।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দীপংকর রায় বলেন, মধু একটি পুষ্টিকর খাবার, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কথায় মুধু ওষুধি গুণাগুণে অতুলনীয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone