শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের! স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও লালমনিরহাটের খোরারপুলে হয়নি সেতু! লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হাত বদলে বাড়ে সবজির দাম; বঞ্চিত হন লালমনিরহাটের চাষিরা! ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি; মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলো যুবক! বিজিবি ও ছাত্রজনতা স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত রাস্তা মেরামত! লালমনিরহাটের চাষীদের বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ! লালমনিরহাটে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধূলা

লালমনিরহাটে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধূলা

কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক কিছুই। তেমনই হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধূলাও। অনুরূপভাবেই লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধূলা আজ বিলুপ্তির পথে। এখানকার অত্যন্ত জনপ্ৰিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল হা-ডু-ডু, ফুটবল, হেন্ডবল, কানামাছি, দাড়িয়াবান্দা, লুডু, কাবাডি ইত্যাদি খেলা কালের বিবর্তণে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ মাত্র ১০বছর হতে ১৫বছর আগেও প্রতিটি গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ মাঠ এমনকি ধান কাটার পর খালি মাঠে এবং বাড়ীর পাশের খালি জায়গায় পর্যন্ত চলতো বিশেষ করে হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার তীব্র প্রতিযোগিতা। এসব খেলায় স্বর্ণ-রোপ্য দিয়ে তৈরি কাপ এমনকি ছাগল (খাসি), গরু, রঙিন টেলিভিশন পর্যন্ত উপহার দেয়া হতো। কতোই না মজা হতো যখন এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রাম, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন কি বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার উৎসুক জনতা এ সব প্রতিযোগিতা দেখে কতই না আনন্দ উপভোগ করতেন।

 

শুধু যে গ্রামে তা কিন্তু নয়, শহরের ছোট ছোট ছেলেরাও হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো। এ সব খেলায় দূর-দূরান্ত থেকে ভালো ভালো খেলোয়ারকে আনা হতো পক্ষে খেলে দেয়ার জন্য যাকে স্থানীয় ভাষায় “হায়ার” বলা হয়। যাদেরকে খেলার জন্য হায়ারে আনা হতো তাদের খাওয়ানো হতো জামাই আদরে এবং দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা উপঢৌকন। অনুরূপ খেলা ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু। বর্তমান এই যুগে যার স্থান দখল করে নিয়েছে বলতে গেলে ক্রিকেট খেলা। এসব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে মনে হবে রূপকথার গল্পের মতো। সে সময়তো স্কুল- মাদ্রাসা-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে এসে নিয়মিত বিকালে বাড়ীর পার্শ্বে মাঠে, বাড়ীর উঠানে এ সব খেলা খেলতো। আজ আর সেই দিন নেই! নেই আগের সে সব গ্রামীণ খেলাধূলা। তবে এখন ও কিছু কিছু হা-ডু-ডু, ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা চোখে পড়ে। তাও কালেভদ্রে।

 

এ ব্যাপারে এক সময়ের হা-ডু-ডু খেলোয়াড় পঞ্চাশর্ধ্ব নায়েব আলী বলেন, আগের দিনে আমরা মৌসুমে প্রায় দিনই এ খেলা খেলতাম। আমি ভাড়ায়ও দূর-দূরান্ত গ্রামে খেলতে যেতাম। যেসব এলাকায় এ খেলার অনুষ্ঠান হতো সেই সব এলাকায় ঈদের মতো আমেজ বইতো। এখন আর আগের মতো হা-ডু-ডু খেলা দেখা যায় না। তাই তো হারিয়ে যাওয়া খেলাধূলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone