শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের! স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও লালমনিরহাটের খোরারপুলে হয়নি সেতু! লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হাত বদলে বাড়ে সবজির দাম; বঞ্চিত হন লালমনিরহাটের চাষিরা! ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি; মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলো যুবক! বিজিবি ও ছাত্রজনতা স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত রাস্তা মেরামত! লালমনিরহাটের চাষীদের বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ! লালমনিরহাটে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে যত্রতত্র এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি; দুর্ঘটনার আশঙ্কা

লালমনিরহাটে যত্রতত্র এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি; দুর্ঘটনার আশঙ্কা

গ্যাস সিলিন্ডার বিধি লঙ্ঘন করে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। ওই বিধিতে আচ্ছাদিত এলাকায় বিক্রি করার নির্দেশ থাকলেও রাস্তার পাশে, বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে তরল পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। এভাবে বিক্রি করায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার অনেক ব্যবসায়ীই সেই লাইসেন্স নেননি। উপরন্তু অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর বিস্ফোরক লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সহজেই এ লাইসেন্স পাওয়া গেলেও অনেকেই তা নেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো কাজ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করে খোলা আকাশের নিচে অবাধে বিক্রি হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী যেসব দোকানে ৪০ থেকে ৫০টি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে, সেসব দোকানে একটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখতে হবে। কিন্তু অনেক দোকানে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। এসব দোকানদার বেশির ভাগই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেননি। তা ছাড়া তদারকির অভাবে ঝুঁকি জেনেও দোকানিরা সনদ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক দোকানে নানা ব্র্যান্ডের এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চা ও পানের দোকান ছাড়াও হার্ডওয়্যান, সিমেন্ট, মনোহরি ও মুদি দোকানেও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone