শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে চাষিরা মাচায় পানি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লালমনিরহাটে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে- আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই-লালমনিরহাটের গণশুনানিতে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের দাবী উপেক্ষা করে জোরপূর্বক স্কুল মাঠে বসানো হচ্ছে হাট-বাজার! লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দুদকের গণশুনানি সোমবার আনারস চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাটের চাষিরা! লালমনিরহাটের ধরলায় ডুবে শিশুর মৃত্যু সংস্কার ও খুনিদের বিচার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না-লালমনিরহাটের বিশাল জনসভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান
লালমনিরহাটে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মৃৎ শিল্প

লালমনিরহাটে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মৃৎ শিল্প

লালমনিরহাটের গ্রাম-বাংলার চিরাচরিত্র ঐতিহ্যের অন্যতম হলো মৃৎ শিল্প। নিকট অতীতে ও গ্রাম্য সমাজে মৃৎ শিল্প দ্বারা নির্মিত মাটির বাসন-কসন, পাত্র, হাড়ি-পাতিল, থালা, ঘটি-বাটি, বদনার বেশ কদর ছিল।
কিন্তু বর্তমানে কম দামে এ্যালুমিনিয়াম, মেলামাইন, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন মেটাল সামগ্রী সহজলভ্য হওয়ায় এবং মৃৎ শিল্পের তৈরী সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিলুপ্তির পথে মৃৎ শিল্প।
মৃৎ শিল্পের চাহিদা কমে যাওয়ায় এ পেশার সাথে জড়িত কুমররা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। চোখে আন্ধার দেখছে। এ শিল্পের সহিত জড়িত লালমনিরহাট জেলার শত শত পরিবারের হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়া টেপা গ্রামের মৃৎ শিল্পীদের পরিবারের লোকজন জানায়, মাটির জিনিসপত্র তৈরী করে আগে সংসার ভালোই চলত। কিন্তু বর্তমানে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
একই অবস্থা বিরাজ করছে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন কুমার পাড়া গুলোতেও।
অধিকাংশ এলাকাতেই কুমার পরিবারগুলো তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। অনেকে মাটির কলস, বদনা, খানদা, ফুলের টব, ফুলদানী, চাড়ি বানালেও পাশাপাশি অন্য ব্যবসা বা চাষাবাদ শুরু করেছেন।
এ পাল পাড়া এলাকার কুমাররা বলেন, লালমনিরহাট জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হোটেল গুলোতে দইয়ের বাটি, থালা সরবরাহ করে অনেকে কোনমতে টিকে আছে।
কুমোরদের শৈল্পিক দক্ষতা ও মনের মাধুরী দিয়ে কারুকার্য খচিত হাড়ি-পাতিল, কলস, বদনা, ফুলের টব, ফুলদানী, জীবজন্তু, ফলমূল, পাখির অবয়ব, সাজ-সজ্জা, অলংকারসহ বাংলার চিড়াচড়িত সব নিদর্শনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এসব সামগ্রী শহরের গিফট হাউস, বিপনী বিতান, চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট, মেলা ও অনুষ্ঠানে ভালো দামে বিক্রি হয়। এ শিল্পের বিকাশ ও মান উন্নয়নে প্রয়োজন শুধু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অনুদান, প্রশিক্ষণ এবং পৃষ্ঠপোষকতা এমনটাই দাবি তাদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone