বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মেয়র কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৩ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত সেই জাহানারা’র পরিবার মুজিববর্ষের ঘর চেয়ে আবেদন! পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট পৌর এলাকাধীন মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার সপ্তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেককাটা অনুষ্ঠিত

তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের ৬কোটি টাকা মূল্যের রাউটার চুরি

আলোর মনি রিপোর্ট
  • প্রকাশের তারিখ : শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রণে স্থাপিত অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমের ৬কোটি টাকা মূল্যের রাউটার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

তিস্তা ব্যারাজের অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমের ৭টি রাউটারের মধ্যে ৬টি রাউটার চুরি নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যার প্রকল্প বিল ধরা হয়েছিল ৬কোটি টাকা।

 

গতকাল শুক্রবার ১০ জুলাই সকালে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজ যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাড়ে ৬কোটি টাকা ব্যয়ে ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করা হয়েছিল তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রণের জন্য। ২০১৮ সালের জুন মাসে এটি স্থাপন দেখানো হয়।

স্থাপনের পর ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপসের মাধ্যমে তিস্তা ব্যারাজের ৫২টি জলকপাট অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম চালু করে। সেখানে মোট ৭টি রাউটার স্থাপন করা হয়।

এ অবস্থায় ১৮মাস যেতে না যেতেই অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি সঠিকভাবে কাজ করেনি। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অটোমেশন কাজের চুক্তি শেষ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তাদের কাজের পুরো বিল তুলে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তিস্তা ব্যারাজের মোট জলকপাট ৫২টি। এর মধ্যে মূল তিস্তা নদীর পানি প্রবাহের জন্য রয়েছে ৪৪টি ও সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহের জন্য রয়েছে ৮টি জলকপাট। তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণের তৎকালীন সময় প্রতিটি জলকপাট নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যুৎ-চালিত সুইস সিস্টেম ও ম্যানুয়াল সিস্টেম রাখা হয়।

 

আরও অভিযোগ রয়েছে, ২০০৩ সালে তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎ-চালিত সুইস সিস্টেম অচল হয়ে যায়। অচল হয়ে যাওয়া তিস্তা ব্যারাজের বিদ্যুৎ-চালিত সুইস রুম নতুনভাবে স্থাপন করতে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা প্রকল্প তৈরি করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাড়ে ৬কোটি টাকা।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় এর ৭টি রাউটারের মধ্যে ৬টি রাউটার পরিকল্পিতভাবে চুরি করার কথা বলা হলেও এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ তিস্তা ব্যারাজ হলো কেপিআই ওয়ান। এখানে ২৪ঘণ্টা নিরাপত্তা টহল থাকে।

এ অবস্থায় কিভাবে মূল্যবান রাউটার চুরি হয়। ৬টি রাউটার চুরি দেখিয়ে অপর ১টি রাউটার খুলে রাখা হয় বলে জানানো হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজ যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ব্যারাজের ওপর যন্ত্রপাতির সঙ্গে ৭টি রাউটার স্থাপন করা ছিল।

রাউটারগুলো কিভাবে চুরি হয়েছে, না কেউ খুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ উমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় দোয়ানী আইসি ক্যাম্পে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

 

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরে মামলার জন্য এজাহার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি তারা শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দায়ের করেননি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102