শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কাঁঠালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা! সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার বা প্রচারণা চালালে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে-লালমনিরহাটে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ
তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে বামতীরে মানববন্ধন

তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে বামতীরে মানববন্ধন

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহবানে তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে আজ রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঘন্টা ব্যাপী বামতীরে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে একই সময় নদীর ডানতীরের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

তিস্তা রেলওয়ে সেতু ও সড়ক সেতু মাঝের বাঁধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের লালমনিরহাট জেলা কমিটির সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম কানু, সহসভাপতি এ্যাডঃ চিত্তরঞ্জন রায় মন্টু, সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মী মাখন লাল দাস, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত জহুরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, গোলাম মাওলা প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে আরশী নগর বাংলাদেশের শিল্পী শরিফা খাতুন তিস্তা নদীর উপর দুটি ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন।

মানববন্ধনে বক্তাগণ তিস্তা মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় বক্তাগণ আরও বলেন, খরা, বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে তিস্তা পাড়ের মানুষ দিশে হারা। নদী ভাঙ্গনের ফলে তিস্তা নদীর প্রস্থ ৫ থেকে ৮কিলোমিটার কোথাওবা তারও বেশি। ফলে দুই পাড়ে লাখ লাখ মানুষ আবাদী জমিসহ বাড়ি ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদী দ্বারা দুই পাড়ের মানুষ বর্ষাকালে বন্যায় এবং গ্রীষ্মকালে পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারে না। অপর দিকে তিস্তার উজানে ভারত এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় নাব্যতা না থাকায় তিস্তা এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মহাপরিকল্পনায় গৃহীত ‘তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পূর্নরুদ্ধার’ প্রকল্পে আওতায় তিস্তা নদীগর্ভে ড্রেজিং, পাড় সংস্কার ও বাঁধানো এবং ভূমি পনুরুদ্ধার করা হবে।

তাছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় বাঁধ মেরামত করা হবে। নদী ড্রেজিং, অবকাঠামো নির্মানের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, গ্রীষ্মকালে পানির সংকট দূর ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ হবে। তিস্তা থেকে সৃষ্ট শাখা নদী ও অন্যান্য নদীগুলোতে ড্রেজিং ও পাড় নির্মাণ করে পানি প্রবাহ সঠিক রাখা ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে নদীর পানি ব্যবহার যাবে।

এই মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় দোয়ানী, নিজ গড্ডীমারী, ধুবনী, পারুলীয়া, ডাউয়াবাড়ী, হলদীবাড়ি, কিশামত নোহালী। কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, হাজিরহাট, কাকিনা, আউলিয়ারহাট, বাগেরহাট, মহিপুর সেতু। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকাসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান হাজার হাজার নারী-পুরুষ স্বতঃস্পুর্তভাবে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone