লালমনিরহাট শহরের অনুমোদনহীন ও মানহীন ক্লিনিক ও প্যাথলজি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) লালমনিরহাটের জেলা শহরের অনুমোদনহীন ও মানহীন ক্লিনিক ও প্যাথলজি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লালমনিহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের এ ভ্রাম্যমান আদালতের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় কলেজ রোডে পালস্ ডায়াগনস্টিক নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান কালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির দুইটি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলার জন্য ১ঘন্টা সময় দেয়া হয়। ১ঘন্টা পর পুনরায় পরিদর্শন করে দেখা যায় যে ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ডগুলো নামিয়ে ফেলেছেন।
শহরের মদিনা পাড়াস্থ ইসলাম প্যাথলজিতে অভিযানের সময় ৭বছরের লাইসেন্স আপডেট না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ কপোত প্রতিষ্ঠানটিকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন।
“সিভিল সার্জন অফিস লালমনিরহাট” নামক ফেসবুকে উল্লেখ করা হয় যে, শহরের স্টেডিয়াম রোডের ম্যাটিন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ৩বছর লাইসেন্স আপডেট করেনি। প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা ১ব্যাগ মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া যায়। ক্লিনিকটি নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন করলেও তাদের ল্যাবে রক্ত স্ক্রিনিং করার ৫ প্রকার কিটের সবগুলো পাওয়া যায়নি। এসবের সাথে অপারেশন থিয়েটার যথাযথ পরিচ্ছন্ন না থাকা ও প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিষ্ঠানটিকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো অনুমোদনসহ মানসম্মতভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং নিয়মিতভাবে পরিদর্শন কার্যক্রম চলবে।