শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিলুপ্তির পথে লালমনিরহাটের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী কুঁড়ে ঘর দেশী মাছের আকাল; পাইকারি মাছ বাজারে নেই পর্যাপ্ত সরবরাহ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ে ক্যাম্পেইন, ওরিয়েন্টেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা ইউপি সদস্যদের লালমনিরহাটে পাহাড়ি কলার বাম্পার ফলন পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সুপার বিলুপ্তির পথে তিস্তা ও ধরলা নদীর সুস্বাদু বৈরালি মাছ লালমনিরহাটে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঐতিহ্যবাহী শ্যামাপুজা (বুড়ির মেলা)কে ঘিরে সীমান্তে দু’দেশের মানুষের মিলন মেলা তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে- স্তব্ধ রংপুর কর্মসূচির ডাক
বিলুপ্তির পথে লালমনিরহাটের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী কুঁড়ে ঘর

বিলুপ্তির পথে লালমনিরহাটের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী কুঁড়ে ঘর

লালমনিরহাটের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খর-কোটার ছাঊনি দিয়ে তৈরি করা ঘর এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময়ে লালমনিরহাটের বসবাসের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই সব কুঁড়ে ঘর। গ্রামের সাধারণ নিম্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ শ্রেণির মানুষেরাও ব্যবহার করতেন এই ঘরগুলো। এক সময় গ্রামে সাধারণত কুঁড়ের ঘরের তুলনায় ইট কিংবা টিনের ঘর ছিল খুবই কম কিন্তু আজ তা কালে আবর্তে সম্পূর্ণ বিপরীত। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কুঁড়ে ঘর এখন চোখে পড়ে খুবই কম। শ্রমজীবী মানুষেরা ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুন হস্তে তৈরি করতো এই কুঁড়ে ঘর।

যারা এই ঘর তৈরি করতে পারদর্শী তাঁদেরকে বলা হয় ছাপরবান। অত্যন্ত আরাম প্রিয় এই ঘরগুলো গরম কালেও ঠান্ডা এবং শীতকালেও এর ভিতরে বেশ গরম অনুভব হতো। আধুনিক যুগের আর্বতে এখনও সেই গ্রামীণ ঐতিহ্যের ঘরের খোঁজ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের এক বাড়িতে এখনও একটি কুঁড়ে ঘর দেখা গেছে।

তবে খরের অভাবে এ ঘরগুলি এখনও ছাউনি দিতে পারছেনা। আগে তো অনেক কৃষক বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করতো। ফলে শক্ত ও মজবুত খর হতো। বছরের একবার চাউনি দিলে অনন্ত ছয় মাস চলে যেতো। আবার পুরাতন ঐ খর দিয়ে প্রায় দুমাসের রান্নার কাজ সাড়া যেতো। কিন্তু ঐসব ধান এখন চাষ করা হয়না।

ওইসব ধানের খর পাওয়া যায় না। ফলে খরের অভাবে এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে এসব ঘরগুলি ছাউনির জন্যে। তবে অত্যন্ত আরামদায়ক এসব ঘরের মাঝে থাকতে। পাশাপাশি ঘরটিকে সংরক্ষিত রাখতে বাঁশের প্রয়োজন হয়। বাঁশতো আগের তুলনায় অনেক কম। সরকারের উচিত গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ ঘরগুলির অস্বিত্ব রক্ষা করা।

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী বলেন, এক সময় সর্বস্তরের থাকার জায়গার উৎসস্থল ছিলো খর কোটার ঘর। সময়ের পরিবর্তনে দালান কোটার আড়ালে এখন নিষ্প্রভ খর কোটার কুঁড়ে ঘর। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone