শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
লালমনিরহাটে চাষিরা মাচায় পানি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন

লালমনিরহাটে চাষিরা মাচায় পানি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন

যত দূর চোখ যায় চতুরদিকে সবুজ আর হলুদের হাতছানি। থোকা থোকা সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটছে অজস্র হলুদ রঙ্গের ফুল। তবে এই সব দৃশ্য কোনো ফুলবাগানের নয়, সবজি পানি কুমড়া ক্ষেতের দৃশ্য এগুলো। দেশের উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হয়েছে সবজি পানি কুমড়া।

 

স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা পানি কুমড়া চাষ করছেন। প্রতিবছরই বাণিজ্যিকভাবে পানি কুমড়া চাষ করছেন কৃষকরা।

 

প্রতি দোন (২৭শতক) জমি চাষ করতে ৮ থেকে ১০হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এ মৌসুমে পানি কুমড়ার চারা রোপণ করেছেন কৃষকরা। পরে সেই জমিতে চারাগুলোর উপরে জিয়াইতার ও বাঁশের কাবাড়ি দিয়ে মাচা তৈরি করে দেন। চারাগুলো গাছ হয়ে এখন সেই মাচায় উঠছে। ফুলের সঙ্গে কোনো কোনো গাছে পানি কুমড়াও ঝুলছে এখন।

 

চারা রোপণ করার সময় প্রতি দোন (২৭শতক) জমিতে ৩০কেজি করে টিএসপি সার ব্যবহার করেন। পরে গাছে ফুল আসার আগে আরও একবার সার ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি ইউরিয়া সারও ব্যবহার করা হয়।

 

এছাড়া পোকার আক্রমণ থেকে গাছ ও পানি কুমড়া রক্ষা করতে সপ্তাহে একবার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় ক্ষেতে। সাড়ে ৩ ফুট দূরত্বে রোপণ করা চারার একেকটি সারির দূরত্ব রাখা হয়েছে ৪ ফুট।

 

আর কয়েক দিনের মধ্যে পানি কুমড়া বিক্রি শুরু হবে। আর তখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে লালমনিরহাটের বিভিন্ন গ্রামের চাষ করা পানি কুমড়া।

 

পানি কুমড়া চাষ করে এখানকার সবাই লাভবান হয়েছেন। তাই লাভবান চাষিদের দেখে অনেকেই ঝুঁকছেন এ সবজি চাষাবাদে। এতে একদিকে সবজির চাহিদা যেমন পূরণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি পূরণ হচ্ছে আর্থিক চাহিদাও।

 

ফুলগাছ গ্রামের আমিনুল পানি কুমড়া চাষী জানান, পানি কুমড়া রোগবালাই খুবই কম। কোনো কোনো সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছ শুকিয়ে যায় কিংবা পচন ধরে। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে রোগ বুঝে ঔষুধ প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, লালমনিরহাট কৃষি প্রধান জেলা। এ এলাকায় প্রায় সব ধরনের সবজির চাষ হয়। বরাবরের মতো এবারো পানি কুমড়া চাষ করে জেলার কৃষকরা ভালো লাভ করছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দিন দিন জেলায় পানি কুমড়া চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone