শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয় লালমনিরহাটে পারফেক্ট ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (পিআইএসটি)র অভিভাবক সমাবেশ ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী বাদীর বাড়ীতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লালমনিরহাটে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের পর ৩ সাংবাদিককে হামলা লালমনিরহাটে কচুর আবাদ বেড়েছে লালমনিরহাটের বিডিআর রোড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নব গঠিত কমিটি’র অভিষেক সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের আইটি বিশেষজ্ঞ নুরুন নবী সরকার পলাশ-এঁর ইন্তেকাল লালমনিরহাটে গাছে গাছে জাম্বুরা ধরেছে লালমনিরহাটে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ/২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে পরীক্ষা দিতে এসে সন্তান প্রসব করলেন হাজেরা খাতুন
স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তা নদীর তীরে প্যালুডার দিয়ে ৪শ ফুট মাটির বাঁধ নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে

স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তা নদীর তীরে প্যালুডার দিয়ে ৪শ ফুট মাটির বাঁধ নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে

আলোর মনি ডটকম রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় স্বেচ্ছাশ্রমে ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় প্যালুডার দিয়ে মাটি কেটে সর্বনাশা তিস্তা নদীর বাম তীরে মাটির বাঁধ নির্মাণ করেছে উপজেলার ধুবনী গ্রামবাসী।

 

জানা গেছে, ২০১৭ইং সালের ভয়াবহ নদীর বন্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মধ্য ধুবনী এলাকায় তিস্তা নদীর বামতীরের মাটির বাঁধটি ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকে। এতে ওই এলাকার অনেক মানুষ ভিটে বাড়ি হারায় এবং প্রায় ৪/৫ হাজার একর ফসলি জমি বালুচরে পরিণত হয়। ফলে এলাকাবাসী ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়। ফসল উৎপাদন না হওয়ায় এলাকার অনেক মানুষ অতিকষ্টে জীবন যাপন করেন এবং ভিটেবাড়ি নদীর বুকে হারিয়ে অনেকে জীবিকার তাগিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যান। দীর্ঘদিন গত হলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি ভাবে বাধঁটি নির্মাণ করা হয়নি।

 

আরও জানা গেছে, তিস্তা নদীর বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ৪শত ফুট মাটির বাঁধটি দীর্ঘ দিন পর মতিউর রহমান (৩০) এর উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তা নদীর বামতীরে বস্তায় মাটি ভরিয়ে ও বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে নদীর বাঁধ।

 

অত্র এলাকার আঃ আউয়াল, ফজলার রহমান, আতিয়ার রহমান, আঃ কুদ্দুস ও আলিমুদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন গত হলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারী ভাবে বাঁধটি নির্মাণ করা হয় না, তাই আমরা মতিউর ভাইয়ের উদ্যোগে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর বাঁধটি নির্মাণ করছি। যাতে নদীর বন্যার পানি প্রবেশ করতে না পারে। যাতে আমরা ফসল উৎপাদন করতে পারি।

 

মতিউর রহমান বলেন, এ এলাকার মানুষ নদীর বন্যার কারনে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেন। তাই আমি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, পার্শ্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, অত্র ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমজি মোস্তফা এবং এলাকাবাসী সোলেমান আলী খোকন ও নজরুল ইসলামের কাছ থেকে কিছু খালি বস্তা সংগ্রহ করে ৩দিন আগে নদীর বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করি। তারপর পাশের গ্রামের নুর ইসলাম রন্টু’র কাছ থেকে শুধু তেল ও লেবার খরচ দিয়ে একটি প্যালুডার ভাড়া নিয়ে বাধঁ নির্মাণ কাজ করতেছি। বর্তমানে ১০জন হাজিরা লেবার ও এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ কাজ চলছে। সরকারি কিংবা কোন দানবীর ব্যক্তির সহযোগিতা পেলে আরও ভাল করে বাধেঁর নির্মাণ কাজ করতে পারবো বলে আশা করি।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য ধুবনী এলাকায় তিস্তা নদীর বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ৪শত ফুট মাটির বাঁধটি এলাকাবাসী স্বোচ্ছাশ্রমে প্যালুডার ও মাটির বস্তা দিয়ে নির্মাণ করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone