শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ৬২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দ্বায়িত্ব)র প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা! ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত দিবস বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!
স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তা নদীর তীরে প্যালুডার দিয়ে ৪শ ফুট মাটির বাঁধ নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে

স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তা নদীর তীরে প্যালুডার দিয়ে ৪শ ফুট মাটির বাঁধ নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে

আলোর মনি ডটকম রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় স্বেচ্ছাশ্রমে ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় প্যালুডার দিয়ে মাটি কেটে সর্বনাশা তিস্তা নদীর বাম তীরে মাটির বাঁধ নির্মাণ করেছে উপজেলার ধুবনী গ্রামবাসী।

 

জানা গেছে, ২০১৭ইং সালের ভয়াবহ নদীর বন্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মধ্য ধুবনী এলাকায় তিস্তা নদীর বামতীরের মাটির বাঁধটি ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকে। এতে ওই এলাকার অনেক মানুষ ভিটে বাড়ি হারায় এবং প্রায় ৪/৫ হাজার একর ফসলি জমি বালুচরে পরিণত হয়। ফলে এলাকাবাসী ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়। ফসল উৎপাদন না হওয়ায় এলাকার অনেক মানুষ অতিকষ্টে জীবন যাপন করেন এবং ভিটেবাড়ি নদীর বুকে হারিয়ে অনেকে জীবিকার তাগিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যান। দীর্ঘদিন গত হলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি ভাবে বাধঁটি নির্মাণ করা হয়নি।

 

আরও জানা গেছে, তিস্তা নদীর বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ৪শত ফুট মাটির বাঁধটি দীর্ঘ দিন পর মতিউর রহমান (৩০) এর উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তা নদীর বামতীরে বস্তায় মাটি ভরিয়ে ও বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে নদীর বাঁধ।

 

অত্র এলাকার আঃ আউয়াল, ফজলার রহমান, আতিয়ার রহমান, আঃ কুদ্দুস ও আলিমুদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন গত হলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারী ভাবে বাঁধটি নির্মাণ করা হয় না, তাই আমরা মতিউর ভাইয়ের উদ্যোগে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর বাঁধটি নির্মাণ করছি। যাতে নদীর বন্যার পানি প্রবেশ করতে না পারে। যাতে আমরা ফসল উৎপাদন করতে পারি।

 

মতিউর রহমান বলেন, এ এলাকার মানুষ নদীর বন্যার কারনে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেন। তাই আমি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, পার্শ্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, অত্র ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমজি মোস্তফা এবং এলাকাবাসী সোলেমান আলী খোকন ও নজরুল ইসলামের কাছ থেকে কিছু খালি বস্তা সংগ্রহ করে ৩দিন আগে নদীর বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করি। তারপর পাশের গ্রামের নুর ইসলাম রন্টু’র কাছ থেকে শুধু তেল ও লেবার খরচ দিয়ে একটি প্যালুডার ভাড়া নিয়ে বাধঁ নির্মাণ কাজ করতেছি। বর্তমানে ১০জন হাজিরা লেবার ও এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ কাজ চলছে। সরকারি কিংবা কোন দানবীর ব্যক্তির সহযোগিতা পেলে আরও ভাল করে বাধেঁর নির্মাণ কাজ করতে পারবো বলে আশা করি।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য ধুবনী এলাকায় তিস্তা নদীর বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ৪শত ফুট মাটির বাঁধটি এলাকাবাসী স্বোচ্ছাশ্রমে প্যালুডার ও মাটির বস্তা দিয়ে নির্মাণ করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone