শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তৈরি হচ্ছে ইটের বিকল্প কংক্রিটের ব্লক

লালমনিরহাটে তৈরি হচ্ছে ইটের বিকল্প কংক্রিটের ব্লক

ইকো কংক্রিট প্রোডাক্টস-ইসিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব কারখানায় তৈরি করছে কংক্রিটের ব্লক। ছবি: সংগৃহীত।

 

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ: ক্রমবর্ধমান এই নগরায়ণের ফলে সারাদেশেই প্রচুর পাকা দালান নির্মিত হচ্ছে। সার্বিক সুবিধা বিবেচনায় মানুষ এখন কাঠ, টিনের ঘরের বদলে ইট, সিমেন্টের ঘর বানাচ্ছে। ফলে বেড়ে গেছে ইটের চাহিদা। বাংলাদেশে সাধারণত জমির উপরিভাগের মাটি পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করা হয়। ফলে এতে পরিবেশের নানামুখী ক্ষতি হচ্ছে।

 

ইট নির্মাণ হয় জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে, যেই মাটি ফসলের জন্য উর্বর। এছাড়া ইট নির্মাণে পোড়ানো হয় কাঠ। ফলে একদিকে অক্সিজেন উৎপাদক গাছ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে ইটের ভাটা থেকে বিষাক্ত কার্বন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। তাই পরিবেশ ও জলবায়ুর কথা বিবেচনা করে সব ইটভাটা বন্ধের দাবি উঠেছে পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে।

 

এ বিষয়টিকে সামনে রেখে ইটের বিকল্প ও ব্যয় সাশ্রয়ী নির্মাণ উপকরণ নিয়ে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজির চওড়া এলাকায় ইকো কংক্রিট প্রোডাক্টস-ইসিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব কারখানায় তৈরি করছে কংক্রিটের ব্লক।

 

ব্লক তৈরি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোঃ মোশারফ হোসেন (পেয়ারা)-এর সঙ্গে।

 

তিনি আলোর মনি ডটকমকে বলেন, ইটের ভাটা থেকে বিষাক্ত কার্বন গ্যাসে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি জলবায়ুর কথা বিবেচনা করে ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের ব্লক তৈরির বিষয়টি মাথায় আসে। সেই লক্ষ্যে বিদেশ থেকে ব্লক তৈরির মেশিন ক্রয় করে লালমনিরহাটে নিয়ে আসি। ব্লক তৈরি করার পর এখন বাজারজাত করছি। দামেও অনেকটা সাশ্রয়ী হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, একটি বাড়ি তৈরি করতে যদি ১৫হাজার ইট লাগে, সেখানে কংক্রিটের ব্লক লাগবে ৩হাজার। অর্থাৎ ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণে ৩০শতাংশের উপরে টাকা সাশ্রয় হয়। একটি বাড়ি নির্মাণে যদি ১লক্ষ টাকার ইট লাগে, সেটা ব্লক দিয়ে ৭০হাজার টাকায় করা যাবে। এছাড়া এই ব্লকের মাঝখানে ফাঁকা থাকে বলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এসি ঘরের মতো। আর প্লাস্টার খরচও খুব কম। ইলেকট্রিক ওয়্যারিং করতেও কষ্ট কম হয়।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইটের ভাটায় ইট পোড়ানোর সময় যে কালো ধোয়া নির্গত হয়, সেটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু এই ব্লক তৈরি করলে নো বার্ন, নো কার্বন। ফলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না।

 

আরও জানা যায়, বাংলাদেশে গ্রিন টেকনোলজি করতে গেলে ইটের বিকল্প কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। তাই সকলকে ইটের পরিবর্তে এই কংক্রিটের ব্লক ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone