বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ এনামুল হক বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আ’লীগ নেতা শফিকুল বিদ্যালয়ের সভাপতি পর কেলেঙ্কারি বাড়ছে! শাওন রাতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ১৩৩ তম তিরোধান উৎসব অনুষ্ঠিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ; তদন্ত কমিটি গঠন! বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের মৃত্যুতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কিন্ডার হিল্পস্ ওর্য়্যাক সংস্থার স্পন্সরপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠিত

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত প্রথম মৃত্যু ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের

আলোর মনি রিপোর্ট
  • প্রকাশের তারিখ : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
  • ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ কেরামত আলী (৪১) নামে এক মৃত্যু ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ হয়েছে। তিনিই প্রথম এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেল। আজ ১৪ জুন রবিবার হতে তার বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশে কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা স্বজনদের নমূনা সংগ্রহ করে রংপুরে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি গতকাল শনিবার রাতে লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত হয়।

 

স্বাস্থ্য বিভাগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুন করোনা উপসর্গ জ্বর, সর্দি ও গলাব্যাথা নিয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন কেরামত আলী (৪১)। মৃত্যুর খবর পেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা মেডিকেল টিম ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। রংপুর পিসিআর ল্যাব থেকে গতকাল ১৩ জুন রাতে পাওয়া রিপোর্ট লালমনিরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয় এলে তার নমুনার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। মৃত্যু কেরামত আলীর বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড়ের বারাইপাড়া গ্রামের ইসলামপুর মহল্লায়। তার বাবার নাম আব্দুস ছামাদ।

 

মৃত্যু কেরামত আলী চট্টগ্রামে একটি ঔষধ কোম্পানির রিপেজেন্টটিভ হিসাবে বহুবছর ধরে কর্মরত ছিল। জ্বর, সর্দি ও জন্ডিস নিয়ে গত ৭ জুন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় নিজ গ্রামের বাড়িতে পরিবারসহ আসে। সেখানে নিজ উদ্যোগে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছিল।

 

পরিবারের স্বজনরা জানায়, তিনি জন্ডিস, হার্ড ও এ্যাজমা রোগী ছিলেন। এসব রোগের চিকিৎসাও চলছিল।

 

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় জানান, এ পর্যন্ত উপস্বর্গ বিবেচনায় ১হাজার ২শত ৬৩জনের নমূণা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১হাজার ১শত ১২জনের রিপোর্ট এসেছে। তারমধ্যে ৬১জন করোনা পজিটিভ, ৩৬জন সুস্থ্য হয়ে গেছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। একজন মারা গেছে। এখন যাদের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসছে। তারা কোন না কোন ভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে লোকাল লোক বাহিরের জেলা থেকে  আক্রান্ত হয়ে আসা লোক হতে আক্রান্ত হয়েছে। সবখানেই একই চিত্র। এই করোনা সংক্রামণ রোগ হতে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে হলে একমাত্র উপায় ঘরে থাকতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়িতে আবার বাহিরের লোকজন আসতে দেয়া যাবেনা। এক কথায় সোস্যাল ডিসটেন্স মানতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে এক মূহুর্তের জন্য গেলেও মুখে মাক্স পরতে হবে। বাহিরে থেকে এসে ভালোভাবে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102