শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ৬২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দ্বায়িত্ব)র প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা! ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত দিবস বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!
লালমনিরহাটে চাকুরীর প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

লালমনিরহাটে চাকুরীর প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন কৌশলে রেজাউল আলম রওনক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করেন।

 

 

জানা গেছে, ওই প্রতারক পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের মফিজার রহমানের পুত্র। তিনি নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

 

এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় তাঁর বিভিন্ন নাম ও বিভিন্ন বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করতেন। গত ২০১৫ সালে বিভিন্ন প্রকার সরকারি চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক।

 

চাকুরী না পেয়ে এ এলাকার ভুক্তভোগীরা অনেক চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে টাকা তুলতে পারেনি। এবং এই ভুক্তভোগীরা টাকা চাইলে প্রতারক রেজাউল আলম রওনক টালবাহানা করে ও বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তার পরিচয় রয়েছে বলে সে হুমকি দেয়।

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আহমদ উল্লাহ আলীবর, রুজেন আহমেদ ও পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের আওলাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রেজাউল আলম রওনক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকুরী দেওয়ার নামে আমাদের এলাকা থেকে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ২কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের সে সর্বশান্ত করেছে। ওই টাকা তোলার জন্য অনেকের কাছে ধরনা দিয়েও টাকা তুলতে পারিনি। আমরা টাকা চাইলে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। সে অনেক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইজ্জত নষ্ট করেছে। আমরা চাই সে যেন আর কারো কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিতে না পারে।

 

এ বিষয়ে রেজাউল আলম রওনক সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার বুদ্ধি দিয়ে টাকা নিয়েছি। আমার চেহারা দেখে কেউ টাকা দেয় নাই। আমি ওই এলাকায় ব্যবসা করেছি মাত্র। আমি যদি তাদেরকে টাকা না দেই দুনিয়ার কেউ নেই আমার কাছ থেকে টাকা নিতে পারে। আমিতো আর টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করছি না। বর্তমান যুগে টাকা নিয়ে স্বীকার করে এ রকম লোক কম পাবেন। আমি পরিস্থিতির শিকার। ওখানে ওই টাকার কমিশন অনেকে খেয়েছে। টাকা দেওয়ার প্রসেসিং চলছে সময় হলে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।

সূত্রঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ অনলাইন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone