শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মাস্টার রোলে কর্মরত বয়-আয়াদের মানবেতর জীবন যাপন

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মাস্টার রোলে কর্মরত বয়-আয়াদের মানবেতর জীবন যাপন

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট ১০০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে মাস্টার রোলে কর্মরত বয়-আয়াদের করোনা ঝুঁকিতে মানবেতর জীবন যাপন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা কালীন সময়ে দিন-রাত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের জন্য নেই নিয়মিত বেতন-ভাতা, করোনা কালীন সময়ে কোন স্বাস্থ্য বীমা।

 

লালমনিরহাট ১০০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।শিশু, গাইনি, সার্জারীসহ কোন বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে উন্নত কোন চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় রোগীদের যেতে হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।নিরুপায় হয়ে যারা চিকিৎসা নিতে আসেন তাদের নির্ভর করতে হয় মাস্টার রোলে কর্মরত বয়-আয়াদের উপর। নার্স,ল্যাব টেকনিশিয়ান, ব্রাদার-এর অভাবে রোগীদের সেবা দেন মাস্টার রোলে কর্মরত আয়া ও ওয়ার্ড বয়রা। দিন-রাত রোগীদের সেবা দিয়ে মাস শেষে বেতন পান ১হাজার টাকা।বেতনের টাকা আসে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজ সেবকসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া চাঁদা থেকে।

 

লালমনিরহাট ১০০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে কর্মরত ৬জন নার্স, টেকনিশিয়ান ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্তরা হয়েছেন- (১) মজিদুল ইসলাম (সুইপার), (২) মাজেদুল ইসলাম দুলাল (বয়), (৩) মোজাফ্ফর (ল্যাব টেকনিশিয়ান), (৪) মোর্শেদা (নার্স), (৫) শিউলি (নার্স), (৬) চামেলি (নার্স)।

 

সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্স-টেকনিশিয়ান ও ব্রাদার করোনা দূর্যোগে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় তাদের জন্য রয়েছে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বীমা। কিন্তু যারা রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে ফ্রন্ট লাইনে কাজ করেন, তাদের নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম। শত ঝুঁকির মধ্যে রাত-দিন রোগীদের সেবা দিয়ে মাস শেষে পান মাত্র ১হাজার টাকা। তাই এই দূর্যোগে সেবা দিয়ে দিন শেষে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে হয় মানবেতর জীবন যাপন।

 

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মাস্টার রোলে কর্মরত রয়েছেন মোট ৩২জন। তাদেরই একজন মোঃ নুর নবী (হিমু)। তিনি জানান, করোনা দূর্যোগে গত ৮০দিন যাবত তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য না হলে তেমন রোগী আসে না, যারা অসুস্থ্যতা নিয়ে আসেন তাদের মাস্টার রোলে কর্মরত বয় এবং আয়া বেডে আনা নেওয়া করেন। করোনা সংক্রামিত হবার ভয়ে সিনিয়র নার্স ও ব্রাদার রোগীদের সরাসরি ধরতে চায়না, ফলে মাস্টার রোলে কর্মরত বয়-আয়াদের সম্মুখ সারিতে কাজ করতে হচ্ছে।আমাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামদি, নেই কোন স্বাস্থ্য বীমা, মাস শেষে আমরা পাই মাত্র ১হাজার টাকা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকার পরেও আমাদের হাসপাতাল থেকে ৬জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন, তাই অনেকেই এখন আতংকে আছেন। আমরা যারা মাস্টার রোলে এখানে সেবা দেই আমাদের কিছু হলে আমাদের পরিবারের দ্বায়িত্ব কে নেবে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করবো দেশের এই দূর্যোগকালীন সময়ে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করুক। মাস্টার রোলে কর্মরত বয় ও আয়াদের জন্য নূন্যতম বেতন ভাতা ব্যবস্থা করুক।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone