শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর লালমনিরহাটে পালিত হলো বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
লালমনিরহাটের সুকানদীঘিতে পদ্মফুল ফুটেছে

লালমনিরহাটের সুকানদীঘিতে পদ্মফুল ফুটেছে

আলোর মনি রিপোর্ট: সকাল পেরিয়ে দুপুরে মৃদু-মন্দ বাতাসে সুকানদীঘির পানির হালকা ঢেউয়ের তালে তালে মাথা উঁচু করে আছে সাদা-গোলাপী পাঁপড়ির মিশেলে একেকটা পদ্মফুল। সুকানদীঘি জুড়ে পদ্মফুলের এমন অপরূপ সৌন্দর্য দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতি প্রেমিদের মনকে যেন নাড়া দেয়।

 

কেউ সুকানদীঘির পাড়ের গাছ তলায় বসে উপভোগ করছেন এ অপরুপ সৌন্দর্য। আবার অনেকেই পায়ে হেটে, বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, রিক্সা, অটোরিক্সায় চড়ে পুরো সুকানদীঘি ঘুরে দেখছেন।

 

সুকানদীঘিতে যতদূর চোখ যায় শুধুই পদ্মফুল। এ মনোরম দৃশ্য মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।

 

স্বচ্ছ জলরাশিতে ভেসে থাকা পদ্মফুল পুরো সুকানদীঘির কানায় কানায় ভরে আছে।

তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাষু ও প্রকৃতি প্রেমিদের কাছে নতুন ঠিকানা লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের কুর্শামারী গ্রামে সুকানদীঘি।

 

এই সুকানদীঘিতে আষাঢ় মাস থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস পদ্মফুল ফুটে থাকে।

 

সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একেকটা পদ্মের কলি ভেদ করে পাঁপড়ি মেলে নিজের সৌন্দর্যের জানান দেয় প্রকৃতির মাঝে। সেই সৌন্দর্যকে যেন আরো নৈসর্গিক করে তোলে খাবার সংগ্রহের জন্য দলবেঁধে ছুটে আসা শালিক পাখি। তাদের কিচির মিচিরে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সুকানদীঘি। প্রতিটি পদ্ম পাতার উপরে মুক্তার মত টলমল করতে থাকা পানি যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যের অলঙ্কার।

 

সুকানদীঘির নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে জেলাসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীরা ভিড় করে।

 

সুকানদীঘি ঘুরতে আসা কলেজ ছাত্র রিজভী আহম্মেদ সৌরভ বলেন, সুকানদীঘির নাম শুনেছি। সরেজমিনে এসে দেখি খুবই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। আমরা স্বপরিবারে সুকানদীঘি ঘুরে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি।

 

কলেজ ছাত্রী আইরিন বেগম বলেন, এটা সুকানদীঘি। এর চারপাশে গাছপালা রয়েছে। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সবাই আসতে পারে।

 

কবি ও সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বলেন, অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি লালমনিরহাট। এই সুকানদীঘি না এলে বুঝতে পারতাম না লালমনিরহাট আরেকটি রূপের বিষয়। এখানকার মানুষের প্রকৃতি সংরক্ষণের যে তাগিদ তা সত্যিই আকৃষ্ট করে সবাইকে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সুকানদীঘি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

 

আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাশে সুকানদীঘি। কয়েক যুগ ধরে এই বিলে পদ্মফুল ফুটছে। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে প্রতিনিয়ত।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone