শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ধনে পাতার ভালো ফলন লালমনিরহাটের চাষিরা তামাক চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছে না ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, রংপুর অঞ্চল নির্বাহী কমিটি ও জেলা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হলেন যাঁরা! লালমনিরহাটে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত লালমনিরহাটে জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে যুব সমাবেশ ও র‍্যালি, যুব ঋনের চেক, সনদপত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দৈনিক সকালের বাণী পত্রিকার ১ম বর্ষপূর্তি অগ্রযাত্রায় ২য় বর্ষে পর্দাপণ ও কিছু কথা লালমনিরহাটের সুমন খানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত লালমনিরহাটে বরবটি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ফেন্সিডিলসহ পিকআপ ভ্যান আটক
লালমনিরহাটের রসালো লিচু এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে

লালমনিরহাটের রসালো লিচু এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে

আলোর মনি রিপোর্ট: অনন্য এক মিষ্টি স্বাদের টসটসে বাংলাদেশের সেরা লালমনিরহাটের লিচু সীমিত আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ এক ধরনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর সেই সঙ্গে দেশি জাতের লিচু এখন গাছে গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে। বর্তমানে মাদ্রাজি জাতের লিচু এখন বাজারে এসেছে। সময়ের আগেই বাজারে আসা লিচুর স্বাদ কিছুটা কম হলেও কিন্তু চাহিদার কমতি নেই। কিন্তু এবারও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লিচু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে লিচু চাষি ও লিচু ব্যবসায়ীরা। লিচু পল্লী খ্যাতি পাওয়া লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা, ফুলগাছ, ইটাপোতা, দুড়াকুটি, কর্ণপুর গ্রামে গাছে গাছে লিচু আলতো সিদুর রঙে রঙিন হয়ে ডালে ডালে ঝুলছে। বাজারে ১শত মাদ্রাজি লিচুর মূল্য ১শত ৫০টাকা থেকে ২শত ৫০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি লিচুর মূল্য প্রায় দেড় টাকা থেকে আড়াই টাকা পর্যন্ত। যদিও বেদানা ও চায়না-থ্রিসহ অন্যান্য জাতের লিচু এখনও নামেনি। দিন দিন লিচুর ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় এ লিচু চাষের জমি বাড়ছে। সেই সাথে বাগান ছাড়াও প্রতিটি বাড়ি, বাড়ি সংলগ্ন ভিটা জমিতে কয়েকটি করে লিচু গাছ রয়েছে প্রত্যেকের।

 

মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের প্রবীণ লিচু চাষী আব্দুল হামিদ মিঞা জানান, তিনি এক একর জমিতে লিচু চাষ করেছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৭৫হাজার টাকায় লিচুর বাগান বিক্রি করেছেন।

 

একই কথা বললেন ওই গ্রামের লিচু চাষী মোস্তাফিজার রহমান, রমেশ চন্দ্র, ডাঃ অনিল চন্দ্র। তারাও লিচু বাগান ইতিপূর্বেই বিক্রয় করেছেন লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে।

 

কোদালখাতা গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন ও রঞ্জু জানান, এবার খরার কারণে লিচু ফুলেনি, শাঁস কম, আকারে বেশ ছোট তাই লিচু উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর এই বাগানের লিচু ১লাখ ৫০হাজার টাকা বিক্রি করেছি এ বছর তা ১লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো কিনা জানিনা। তার উপরে আবারও সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ আর আগের মতো লিচু কিনে খাবেনা। সবদিক দিয়ে লিচু ব্যবসায়ীদের এবার লোকসান গুনতে হবে।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম জানান, এ বছর  প্রচন্ড খরা ও আবহাওয়াগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে কিছু গাছে লিচু কম এসেছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় লিচু কিছুটা কম ধরেছে। এ কারণে লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়তে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone