শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
পুঁইশাক চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

পুঁইশাক চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: নামে মাত্র কায়িক শ্রম ও উৎপাদন খরচ কম, সেই সাথে লাভ বেশি হওয়ায় লালমনিরহাট জেলার উঁচু ও মাঝারি উঁচু জাতীয় জমিতে বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে পুঁইশাক চাষ করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। খরচের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ লাভের এই পুঁই শাক চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন শুধু বেড়েই চলেছে।

 

প্রবাদে আছে “মাছের মধ্যে রুই, শাকের মধ্যে পুঁই”; অর্থাৎ দুটিই আমিষ জাতীয় খাদ্য এবং লোভনীয়। এই শাকের পাতা ও ডাটা বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও বেশ কার্যকারী। মসুরের মতো গুণ সমৃদ্ধ বলেই গত বছরের চেয়ে চলতি বছর জেলায় পুঁই শাকের আবাদ প্রায় দুই গুণ বেড়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার পুঁইশাক পাশ্ববর্তী জেলায় যাচ্ছে।

 

পুঁই শাক চাষিরা জানান, পুঁইশাক চাষে শুধুই লাভ। এটি খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা, চাষে বাড়তি সেচ, সার, তেল ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়না। সামান্য জৈব সার ব্যবহারেই পুঁই শাক হয়ে যায়।

 

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং মাটি দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ থাকায় সেখানে পুঁইশাক বেশি চাষ হয়।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, পুঁইশাক অধিক লাভজনক চাষ। পুঁইশাক সাধারণত দেড় থেকে দুই মাসের ফসল। পুঁই শাক সহজে চাষ করা যায়।

 

শাক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, অন্য যেকোন শাক সবজির চাহিদা কম, কিন্তু পুঁইশাক সহজে মিলে, তাই এর চাহিদা ও দাম সারা বছর বেশি থাকে। ফলে উৎপাদনকারী, খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতা এবং শাক সবজি ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন; পাশাপাশি বিষমুক্ত ও সতেজ শাক পাচ্ছেন ভোক্তা সাধারণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone