শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
পাটগ্রামে দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত কৃষকদের এই ক্ষতি ভারতের কাছে নেওয়া উচিৎ আগামীকাল থেকে শুরু লালমনিরহাট জেলা ইজতেমা! রোটারি ক্লাব অব লালমনিরহাট এর ৩৯ তম চার্টার ডে পালিত লালমনিরহাটে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস/২০২৪ উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকগণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাফার গুদাম থেকে সরাসরি সার কিনতে চায় কার্ডধারী খুচরা বিক্রেতারা মৌসুমী বন্যা ও বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাট জনপদ: ত্রাণ-পুনর্বাসন অপর্যাপ্ত আমাদের দুঃখের আর এক নাম তিস্তা!

বিলুপ্তির পথে চোত্তা গাছ

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: এক সময় গ্রাম বাংলার ঝোপ-ঝাড়ে যে গাছটিকে ছিলো ভয় সাপ খোপের চেয়ে কম নয় এর নাম ‘বিছুটি’। এই গাছটি ‘চোত্তা’ নামে পরিচিত। বোটানিক্যাল নাম লেপোরটিয়া ক্রিনালাটা গেউড। চোত্তা মূলত: গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার গ্রামাঞ্চলের ঝাড়-জঙ্গলে কয়েক কদম হাঁটলে হয়তো এখনও এর দেখা পাওয়া যাবে। কিন্তু ছোঁয়া লাগলে সর্বনাশ। সারা গায় শুরু হবে চুলকানি। বর্ষায় ভেজা চুত্তা পাতার ঘসায় রক্তিম হয়ে যায় ত্বক। আগুনের মত জ্বলে এবং চুলকায়। তিন দিন পর্যন্ত চলতে থাকে যন্ত্রণা। এর কবল থেকে গরু-ছাগল তথা লোম জাতীয় প্রাণীর মুক্তি নেই। অনেক অঞ্চলে চোত্তা নিয়ে রয়েছে নানা মুকরোচক কথা। শাস্তি হিসেবে চোত্তার ডাল-পাতা দিয়ে চোর পেটাতে দেখা যেতো। গাছটি হারিয়ে যাওয়ায় চোরেরা খুশি। এখন তাদের খেতে হয়না চোত্তার পিটুনি।

 

আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রাচার্য চিরজ্ঞীব বনৌষধিতে চোত্তার বিভিন্ন ভেষজ প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন। হৃদরোগ, হাপানি, গেটে বাত, মামস, রক্তপড়া, বুকধরফর, বলাধান এবং কোষ্ঠবদ্ধতায় চোত্তা একটি কার্যকর ভেষজ। আসাম অঞ্চলের কোন কোন বৈদ্য এটাকে উন্মাদ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করেন। আয়ুর্বেদ এবং চরক সংহীরতায় এর ভেষজ গুনের উল্লেখ রয়েছে। লোকালয়ে ঝোপ-ঝাড় ধ্বংস করে আবাদী জমি তৈরীর ফলে অন্যান্য মূল্যবান গাছের মত চোত্তাও হারিয়ে যেতে বসেছে।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, চোত্তা ভেষজ চিকিৎসা ছাড়াও বন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

সাংস্কৃতিক কর্মী ডাঃ অনিল চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমার মামার বাড়ি কোদালখাতা গ্রামে। আমাদের বাড়ির পাশাপাশি। মামা বাড়ির চারিদিকে এখনও চোত্তা গাছ দিয়ে ঘেরা রয়েছে। এটি চোর থেকে রক্ষা পেতে এ গাছ লাগানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, চোত্তা গাছ লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলো চারিধারে এখনও প্রাচীর/ চ্যাওকার হিসেবে দেখতে পাওয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone