শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ৬২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দ্বায়িত্ব)র প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা! ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত দিবস বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!
লালমনিরহাটে মাংস বিক্রেতাকে পিটালেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

লালমনিরহাটে মাংস বিক্রেতাকে পিটালেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার এক মাংস বিক্রেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান প্রামানিক ছালেকের বিরুদ্ধে।

 

গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মজিদুল ইসলাম নামে এক মাংস বিক্রেতা। অভিযোগকারী মাংস বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবদা  শঠিবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ছালেকুজ্জামান প্রামানিক ছালেকের কাছে একই ইউনিয়নের শঠিবাড়ি বাজারের মাংস বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম ১৫হাজার ৯শত টাকা পাওনা ছিলেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে সেই টাকা আজ কাল বলে বিলম্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে গত মাসে চেয়ারম্যান ছালেকের একটি গরু ২৫হাজার ৫শত টাকা মূল্যে ক্রয় করেন মাংস বিক্রেতা মজিদুল। গরু ক্রয়ের সময় মাংস বিক্রেতা ১০হাজার ৫শত টাকা চেয়ারম্যানকে প্রদান করেন। অবশিষ্ট অর্থ পূর্বের পাওনা হিসেবে রেখে দেন মজিদুল। এরপরেও ৯শত টাকা পাওনা থাকে মজিদুল।  কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বের পাওনা টাকা অস্বীকার করে পুর্নরায় মাংস বিক্রেতার কাছে টাকা দাবি করেন।

গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) পাওনা টাকার হিসাব নিয়ে শঠিবাড়ি বাজারের সাবু মিয়ার দোকানে বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের। এ সময় পুর্বের পাওনা টাকা চাওয়া মাত্রই চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান মাংস বিক্রেতার উপর চড়াও হয়ে গালমন্দ ও মারপিট করেন। স্থানীয়রা প্রথম পর্যয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যানের ডাকে তার লোকজন লাঠি শোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে শঠিবাড়ি বাজারে শোডাউন দিলে মুহুর্তে আতংকিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করেন। চেয়ারম্যানের লোকজনের শোডাউনে কোন রকমে পালিয়ে রক্ষা পান মাংস বিক্রেতা। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে মাংস বিক্রেতা মজিদুল ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকী প্রদান করে চলে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান প্রামানিক ছালেককে প্রধান করে ৭জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতেই আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাংস বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone