শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সেই আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাটে ডান চোখ তুলে নিয়েছে, এখন বাম চোখও উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে মাংস বিক্রেতাকে পিটালেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

লালমনিরহাটে মাংস বিক্রেতাকে পিটালেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার এক মাংস বিক্রেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান প্রামানিক ছালেকের বিরুদ্ধে।

 

গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মজিদুল ইসলাম নামে এক মাংস বিক্রেতা। অভিযোগকারী মাংস বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবদা  শঠিবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ছালেকুজ্জামান প্রামানিক ছালেকের কাছে একই ইউনিয়নের শঠিবাড়ি বাজারের মাংস বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম ১৫হাজার ৯শত টাকা পাওনা ছিলেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে সেই টাকা আজ কাল বলে বিলম্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে গত মাসে চেয়ারম্যান ছালেকের একটি গরু ২৫হাজার ৫শত টাকা মূল্যে ক্রয় করেন মাংস বিক্রেতা মজিদুল। গরু ক্রয়ের সময় মাংস বিক্রেতা ১০হাজার ৫শত টাকা চেয়ারম্যানকে প্রদান করেন। অবশিষ্ট অর্থ পূর্বের পাওনা হিসেবে রেখে দেন মজিদুল। এরপরেও ৯শত টাকা পাওনা থাকে মজিদুল।  কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বের পাওনা টাকা অস্বীকার করে পুর্নরায় মাংস বিক্রেতার কাছে টাকা দাবি করেন।

গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) পাওনা টাকার হিসাব নিয়ে শঠিবাড়ি বাজারের সাবু মিয়ার দোকানে বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের। এ সময় পুর্বের পাওনা টাকা চাওয়া মাত্রই চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান মাংস বিক্রেতার উপর চড়াও হয়ে গালমন্দ ও মারপিট করেন। স্থানীয়রা প্রথম পর্যয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যানের ডাকে তার লোকজন লাঠি শোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে শঠিবাড়ি বাজারে শোডাউন দিলে মুহুর্তে আতংকিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করেন। চেয়ারম্যানের লোকজনের শোডাউনে কোন রকমে পালিয়ে রক্ষা পান মাংস বিক্রেতা। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে মাংস বিক্রেতা মজিদুল ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকী প্রদান করে চলে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান প্রামানিক ছালেককে প্রধান করে ৭জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতেই আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাংস বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone