শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ৬২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দ্বায়িত্ব)র প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা! ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত দিবস বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!
লালমনিরহাটে অসহায় পরিবারের জমি বে-দখলে বসবাস অন্যের জমিতে

লালমনিরহাটে অসহায় পরিবারের জমি বে-দখলে বসবাস অন্যের জমিতে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটের এক অসহায় ভুমিহীন পরিবার ওয়ারিশের সাড়ে ২৮শতক জমি বে-দখলে। ফলে অসহায় ভুমিহীনরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করেছেন অন্যর জমিতে। এ ঘটনায় অসহায় ভুমিহীন পরিবারটি মামলা-মোকদ্দমা করেও কোন সুফল না পাওয়ায় বর্তমান সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া-তেলীপাড়া গ্রামের মৃত ফজলে রহমানের পুত্র আমজাদ হোসেনগং এর ওয়ারিশ সুত্রে সাড়ে ২৮শতক জমি রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল গায়ের জোড়ে বেদখলে নিয়ে ভোগ দখল করছেন।

 

আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭০ সালে আমার বাবা ফজলে রহমান পারিবারিক সমস্যার কারণে সাড়ে ২৮শতক জমি একই এলাকার স্থানীয় কোরবান আলী সরকারের পুত্র তছলিম উদ্দিন সরকারের নিকট ৪শত টাকায় বন্দোক অর্থাৎ তৎকালীন বন্দোকেই (সাব-কবলা) রাখেন।

 

যার দলিল নং-৮৯৫৯/৭০, যার মেয়াদ ছিল ৯ বছর অর্থাৎ ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ওই সময় দলিলে শর্তছিল যে, উক্ত ৯ বছরের মধ্যে বন্দোক বা (সাব-কবলার) ৪শত টাকা ফজলে রহমান বা তার কোন ওয়ারিশ তছলিমকে ফিরত দিলে তারা ওই সাড়ে ২৮শতক জমি ফিরত পাবেন।

এরমাঝে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের আমলে তৎকালীন বন্দোক (সাব-কবলা) বাতিল ঘোষণা করেন। সেক্ষেত্রে আমার বাবা ফজলে রহমানেই ওই জমির অংশীদার থাকেন। কিন্তু ১৯৭০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওই সাড়ে ২৮শতক জমি বেদখলদ্বারের নিকট থেকে আমরা দখলে নিতে পারি নাই। তাই জমি উদ্ধারের জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালত, লালমনিরহাট-এ মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- অন্য-১১৮/২০। যার তফশীল সি.এস.খং.নং-১৪০, এস.এ.খং.নং-১৪৫, বি.আর.এস.খং.নং-১২০ ও ১৬২, দাগ নং-১০১, জমি-.৫৭ একরের মধ্যে সাড়ে ২৮ শতক। আমজাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা অসহায় ভুমিহীন। আমাদের পরিবারের ওয়ারিশের সাড়ে ২৮ শতক জমি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বেদখলে। তাই আমরা অসহায় ভূমিহীনরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছি অন্যর জমিতে। আমরা এ ঘটনায় আদালতে মামলা-মোকদ্দমা করেও কোন সুফল না পাওয়ায় বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone