শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে চাষিরা মাচায় পানি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লালমনিরহাটে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে- আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই-লালমনিরহাটের গণশুনানিতে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের দাবী উপেক্ষা করে জোরপূর্বক স্কুল মাঠে বসানো হচ্ছে হাট-বাজার! লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দুদকের গণশুনানি সোমবার আনারস চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাটের চাষিরা! লালমনিরহাটের ধরলায় ডুবে শিশুর মৃত্যু সংস্কার ও খুনিদের বিচার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না-লালমনিরহাটের বিশাল জনসভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান
লালমনিরহাটে ত্রাণের ব্রীজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

লালমনিরহাটে ত্রাণের ব্রীজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ২৯লক্ষ টাকার ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে ব্রীজের ঢালাই বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। তবে ঠিকাদারের দাবী হাতীবান্ধা উপজেলা পি,আই,ও অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে ব্রীজের এ ঢালাই বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের ২৯লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়। ব্রীজ নির্মাণের শুরু থেকে দরপত্রের কোন শিডিউল মোতাবেক কাজ করেনি ঠিকাদার। ব্রীজ নির্মাণের ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নষ্ট সিমেন্ট, লোকাল বালু, পুরাতন রড ও পুরাতন ব্রীজের নষ্ট খোয়া। ব্রীজের উচ্চতা শিডিউলে ১৮ফিট থাকলেও তা করা হয়েছে ১৪ফিট। ছাদে রডের পরিমানও দেয়া হয়েছে কম। ফলে গতকাল বুধবার সকালে ঠিকাদার ব্রীজের ছাদ ঢালাই দেয়ার চেষ্টা করলে তা বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। ব্রীজের উচ্চতা ৪ফিট কম হওয়ায় বন্যায় সময় ব্রীজের সামনে কচুরিপানা জমাট বাধবে। ফলে বন্যার পানির স্রোতে ব্রীজের দুই পাশের রাস্তার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এলাকাবাসী আরও জানান, ব্রীজের কাজ বুঝে নেয়ার দায়িত্বে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি,আই,ও) ফেরদৌস আহমেদ থাকলেও মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে তিনি সব অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখেও না দেখার ভান করছে। ফলে সরকারি সিডিউল মোতাবেক এখানে কোন কাজ করা হয়নি।

তাই এলাকাবাসী সরকারি সিডিউল মোতাবেক ব্রীজের কাজ না করার পিছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাতীবান্ধা, জেলা প্রশাসক লালমনিরহাট ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

ব্রীজের নির্মাণে প্রকৃত ঠিকাদার লালমনিরহাটের আব্দুল হাকিম হলেও তা ৮লক্ষ টাকায় কিনে নিয়ে কাজ করছে সিন্দুর্না ইউনিয়নের সেলিম হোসেন নামে এক যুবক।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone