শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সাপটানা চাইনিজ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই অধিকাংশ বিপণি বিতানে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি-এনসিপির থানা আক্রমণ করে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪জন গ্রেফতার লালমনিরহাটে ফল উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপির কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা ভাংচুর : ৮ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রিকশাচালক গ্রেফতার চাকরিচ্যুত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি
এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মোছাঃ মাহবুবা আফরোজের

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মোছাঃ মাহবুবা আফরোজের

আলোর মনি রিপোর্ট: মাহবুবা আফরোজের ৭বছর বয়সে বাবা মারা যায। তিনি তাঁর বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবার মৃত্যুর ৩বছর পর মায়ের অন্যত্র বিয়ে দেয় তার নানার পরিবার। দরিদ্র বৃদ্ধ নানা আব্দুল জলিলের  দিনমজুরের সামান্য আয়ে চলে সংসার। তিনি ছোটবেলা থেকে নানার বাড়িতে থেকে শত কষ্টের মাঝেও লেখা পড়া চালিয়ে যান। পরিবারে অভাব-অনাটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। ৩কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে নিয়মিত যাতায়ত করতেন। এরপরও টিউশনি করে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে মোছাঃ মাহবুবা আফরোজ।

 

 

দারিদ্রতা আর শত বাধার জয় করে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা আরেফা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা-২০২০ এ মানবিক বিভাগ থেকে  জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোছাঃ মাহবুবা আফরোজ।

মোছাঃ মাহবুবা আফরোজের নানার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নবীনগর গ্রামের  আফতাব মোড়স্থ এলাকায়। তার বাবা মৃত মোফাজ্জল হোসেন আর মা মোছাঃ মনোয়ারা বেগম।

মোছাঃ মাহবুবা আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে।  আমি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বিসিএস ক্যাডার হয়ে  শিক্ষার আলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।

 

নানী মোছাঃ আনিছা  বেগম সাংবাদিকদের  জানান, আমার নাতনী মাহবুবা আফরোজ প্রায়ই না খেয়ে স্কুল যেতো। তার বাবা নেই। তাঁর নানার দিনমজুরের সামান্য আয়ে কোন রকমে সংসার চলছে। সে প্রত্যেক ক্লাসে ভালো ফলাফল করেছে। আমরা গরিব মানুষ । আমাদের তো আর সামর্থ নেই নাতনীকে কলেজে পড়ানোর। এখন কোন দানশীল ব্যক্তি যদি তার লেখাপড়ার ভার বহন করে। তাহলে সে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।

 

বাউরা আরেফা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, মাহবুবা আফরোজ মেয়েটি খুবই নম্র-ভদ্র ও মেধাবী। অনেক কষ্টের মাঝে সব ক্লাসে ভালো ফলাফল করেছে।  গরিবের কারনে আমাদের স্কুলে আমরা তাঁকে লেখাপড়ার উপকরণ ও  বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করেছি। যদি দেশের কোন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি তাকে পড়াশুনার সহযোগিতা করে। উচ্চ  শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে ভাল কিছু করবে। মেয়েটির বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone