শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী হালা বটের তল

ঐতিহ্যবাহী হালা বটের তল

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট পৌরসভাধীন উত্তর সাপটানা মৌজায় অবস্থিত ‘হালা বটের তল’। প্রধান বট গাছটির সাথে আরও তিনটি গাছ যুক্ত রয়েছে- পাইকর, আম ও বকুল গাছ। বটগাছটির বয়স ১৫০বছরের উর্দ্ধে। গাছের নিচের ঈদের মাঠটি আরও পুরানো। পাকিস্তান আমলে ১৯৫১/৫২ খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় খতি ফকির জৌনপুরের জনৈক পীর সাহেবকে এনেছিলেন ওয়াজ করার জন্য। পীর সাহেব এ গাছের নিচে বসে ওয়াজ করেছিলেন। আগত লোকজনের ওজু করার জন্য মাঠের পার্শ্বে একটি মাটিয়া কুয়া খনন করা হয়েছিল কিন্তু কুয়ার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে ওজু করার সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে পীর সাহেব এক বদনা পানি নিয়ে তাতে দম করে কুয়ায় ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওজুর পানির অভাব হয়নি। আবার ওয়াজ শেষে খিচুরী বিতরণের সময় তাও কম হওয়ার আশংকা দেখা দিলে পীর সাহেব খিচুরীর হাড়িতে দম করে হাড়ির মুখে ঢাকনা দেন। পরে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকানা একটু সরিয়ে খিচুরী বিতরণ শুরু করা হয়। ঐ হাড়ির খিচুরী আগত লোকজনের মাঝে বিতরণ শেষে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের লোকজন যারা যারা ওয়াজ শুনতে আসেনি তাদের জন্যও পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়। পীর সাহেব ওয়াজ করে চলে যান কিন্তু ওয়াজ করার মাঠটি এলাকার লোকজনের কাছে পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হতে থাকে সাথে সাথে পীর সাহেবকে ছায়াদানকারী বট গাছটির প্রতিও বিশেষ সম্মান দেখানো শুরু হয়। দু’একজন এখানে এসে মানত করে সুফল পাওয়ার পর থেকে এখনও প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন স্থান থেকে অগণিত লোকজনকে মানতের উদ্দেশ্যে এখানে আসতে দেখা যায়। বর্তমানে সেখানে একটি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone