বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও শৈত্য প্রবাহে কারণে হার কাঁপুনি শীতে ভুগছে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন না এই জেলার মানুষজন গত সোমবার থেকে শীত বাড়তে থাকলেও বুধবার রাত থেকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সারাদিন ঘন কুয়াশা সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারপাশ, শীতের হিমেল বাতাসে কাঁপছে জনজীবন।
কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। বিশেষ করে দিনমজুরদের সকাল শুরু হচ্ছে অনিশ্চয়তায়। কুয়াশা ও শীতের কারণে অনেকেই দেরিতে কাজে বের হয়ে কাজ পাচ্ছেন না। ফলে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে কাজের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। বিশেষ করে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়, বিডিআর গেট ও নয়ারহাটে কাজে যাবার জন্য অপেক্ষা থেকে কাজ না পেয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ কোন কাজ না থাকলে সহজে কেউ পথে উঠছেন না। ব্যাটারি চালিত রিকশা চালক লোকজন তেমন তা থাকায় রিকশা স্ট্যান্ট থেকে ঘুরে বাড়িতে যাচ্ছেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীত থেকে বাঁচতে ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরেই এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোদের দেখা নেই আবার শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত সোমবার থেকে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলছে গত বুধবার রাত থেকে লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। যার ফলে তীব্র শীত ও শৈত্য প্রবাহে জনজীবন নাজেহাল অবস্থা।
তিনি আরও জানান, আগামী কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।