লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র চলমান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিক অপারেশনে ভারতীয় জিরা ও কাপড় এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনে ও রাতে বিভিন্ন বিওপি ও ব্যাটালিয়ন সদর কর্তৃক সফল অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত হতে অবৈধভাবে আসা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা এবং কাপড় ও বিভিন্ন মাদক দ্রব্য লালমনিরহাট সদরের রেলওয়ে মাঠ হতে জব্দ করতে সক্ষম হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে যে, সীমান্ত হতে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা মালামাল সমূহ গোপনে ষ্টোর করে রাখা হয়েছে এবং কুড়িগ্রাম এলাকা থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানে করে উক্ত পণ্যসমূহ পরিবহন করে সম্ভবত ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং সম্ভাব্য চলাচল রুটে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়িটি চ্যালেঞ্জ করে। পরর্তীতে বিস্তারিত তল্লাশি চালিয়ে ভ্যানের ভেতর থেকে অবৈধভাবে আসা ভারতীয় জিরা ২হাজার ৫শত ১১কেজি, ভারতীয় শাল চাদর ১শত ৮০টি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৮লক্ষ ৭১হাজার টাকা।
এছাড়াও, অধীনস্থ ৪টি বিওপির চোরাচালান বিরোধী পৃথক পৃথক ৩টি অভিযানে অভিযানে ভারতীয় গাঁজা ১৩কেজি, যার সিজার মূল্য ৪৫হাজার ৫শত টাকা, ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ১শত ৪০টি বোতল, যার সিজার মূল্য ৫৬হাজার টাকাসহ সর্বোমোট সিজার মূল্য ১লক্ষ ১হাজার ৫শত টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ সকল ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের পরিচয় শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, পণ্য চোরাচালান জাতীয় অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে দেশীয় বাজারে ভারসাম্য নষ্ট হয়, সরকার তার ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধমূলক চক্র সক্রিয় হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবি দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করছে। সীমান্তে নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চেকপোস্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে বিজিবি তার অপারেশনাল কর্মকান্ড অব্যাহত রাখছে। দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় বিজিবি এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।