লালমনিরহাটের সদর উপজেলার সাপটানা পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপিতের বয়স হয়েছে ৫১বছর। আর জাতীয়করণের বয়স ৪৭বছর। অথচ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার অবস্থা বেহাল। এটি গত ২যুগেও সংস্কার করা হয়নি।
জানা গেছে, সাপটানা পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৭৪ সালে আর তা জাতীয়করণ হয় ১৯৭৮ সালে। এ বিদ্যালয়টি লালমনিরহাট পৌরসভার ৬ ও ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এছাড়াও লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ুয়া সংলগ্ন প্রতিষ্ঠানটি। এতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন বসবাসরতদের সন্তানেরা লেখাপড়া করে। উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকসহ মোট ৯জন কর্মরত রয়েছেন। এখানে ১শত ৫১জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ণরত রয়েছেন। প্রায় ১একর ৮শতক জমিতে বিদ্যালয়টি। এছাড়াও এ বিদ্যালয়ে নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয় বিদ্যালয়টি। মূল সড়ক থেকে বিদ্যালয়গামী ২শত ২৭ফিট লম্বা আর ১৫ফিট প্রস্থের বিদ্যালয়ের রাস্তা সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন ধরে।
সরেজমিন দেখা গেছে, লালমনিরহাটের বানিয়ারদীঘি হতে পুরানপাড়া হয়ে দেবদেবির বাজার সড়কের মূল সড়কের পূর্ব পার্শ্বে সাপটানা পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। এতে স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। লালমনিরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ গত ২যুগেও সংস্কার করেনি। ফলে যানবাহন দূরের কথা, হেঁটেও ঠিকমতো চলাচল করা যায় না। ভাঙা রাস্তার কারণে প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীদের বাইসাইকেল নষ্ট হয়। বৃষ্টির দিনে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।
অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসার সময় রাস্তার কাদাপানিতে পোশাক নোংরা হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের ফিরে যেতে হয় বাড়ি।
সাপটানা পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ময়নুল ইসলাম মুন্না, সাকিলা আক্তারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, প্রতিদিনই স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে কাদাপানিতে তাদের অনেকের পোশাক নষ্ট হচ্ছে। এতে অনেকে বিড়ম্বনার শিকার হয়।
সাপটানা পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাদিয়া খানম বলেন, ভাঙ্গাচোরা রাস্তা মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। বর্ষাকালে আরও সমস্যা হয়। কাদা পানি পার হয়ে আসতে হয়। এতে দূর্ঘটনা ঘটে।
সাপটানা পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আগেও কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হলে সকলেই উপকৃত হবে।
লালমনিরহাট পৌরসভার প্রশাসক ও লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রাজিব আহসান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। পরিদর্শন করে এবং প্রধান শিক্ষকের আবেদন পেলে সড়কটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।