শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর পানি কমলেও হাজারও মানুষ এখনও পানিবন্দি

তিস্তা নদীর পানি কমলেও হাজারও মানুষ এখনও পানিবন্দি

লালমনিরহাটের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি এখনও বিদ্যমান থাকায় লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২১সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হয়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে এখনও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় লালমনিরহাটের ৫টি লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার হাজারও মানুষ পানিবন্দি। গত ৪৮ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট জেলার ৩০টি গ্রামের প্রায় ১২হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খোলা আছে এবং পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

 

বন্যা সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৩সেন্টিমিটার নিচে এবং ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৪৬সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

স্থানীয়রা জানান, পানিবন্দি অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না, চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদিপশু উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্লাবিত হয়েছে।

 

লালমনিরহাটের সদরের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার সারমিন সুলতানা বলেন, কয়েক দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। পানি কিছুটা কমলেও কষ্ট করে খালি পায়ে প্রাইভেটে যাচ্ছি। আমরা চাই তিস্তার স্থায়ী সমাধান।

 

ফিরোজ হাসান সুরুজ জানান, পানি ঢুকে পড়ায় চুলা জ্বালানো সম্ভব হয়নি। গবাদিপশু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। সরকার যদি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তবে আমরা রেহাই পাব।

 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, নদীর পানি বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। কোথাও পানি কমায় ভাঙন দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

 

চলতি মৌসুমে এটি তিস্তায় তৃতীয় দফা বন্যা। গত ২৯ জুলাই প্রথম দফা ও গত ৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। সর্বশেষ ১৩ আগস্ট থেকে পানি আবার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে, যা বর্তমানে নিচে নামতে শুরু করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone