শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :

গুণীশিল্পী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে গুণীশিল্পী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন-এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক। বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হাসানুর রশীদ প্রমুখ। এ সময় অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২৪ সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজন হলেন- নাট্যকর্মী: মোঃ সামসুদ্দোহা বাবু, লোকসংস্কৃতি: শরণ কুমার বর্মা, যন্ত্রসঙ্গীত: মুকুল চন্দ্র রায়, কণ্ঠসঙ্গীত: শাওন রায়, সৃজনশীল সংগঠক: সত্যেন্দ্র নাথ রায়।

 

নাট্যকলা সম্মাননা প্রাপ্ত মোঃ সামসুদ্দোহা বাবু দীর্ঘ দুই দশক ধরে নাটক নির্দেশনা ও অভিনয়ে যুক্ত থেকে স্থানীয় নাট্যচর্চায় অবদান রেখে চলেছেন। বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত থেকে মঞ্চ নাটককে ছড়িয়ে দিয়েছেন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত।

 

লোকসংস্কৃতি সম্মাননা প্রাপ্ত শরণ কুমার বর্মা যিনি পল্লীগীতি, লোকগাথা ও লোকজ ঐতিহ্য তুলে ধরায় বিশেষ অবদান রাখছেন। তিনি নিজেও একজন অভিজ্ঞ লোকসংগীত শিল্পী।

 

যন্ত্রসঙ্গীত সম্মাননা প্রাপ্ত মুকুল চন্দ্র রায় বহু বছর ধরে তিনি সংগীত পরিবেশনায় তবলায় ছায়াসঙ্গী হিসেবে কাজ করে আসছেন, জেলার বহু অনুষ্ঠানে তাঁর বাজনা শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

 

কণ্ঠ সঙ্গীত সম্মাননা প্রাপ্ত শাওন রায় আধুনিক গান, দেশাত্মবোধক সংগীত ও নজরুলগীতে তাঁর কণ্ঠ পরিচিত এবং প্রশংসিত। সংগীতশিল্পী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় তিনি।

 

সৃজনশীল সংগঠক সম্মাননা প্রাপ্ত সত্যেন্দ্রনাথ রায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা, অনুষ্ঠান আয়োজন এবং নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।

 

এছাড়াও “১৩তম শাপলা কুড়ি-২০২৫” এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গৌরব অর্জন করায় ঐশ্বর্য জিতা স্পর্শ-কে লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

 

পরে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদপত্র তুলে দেন।

 

বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সংস্কৃতি সমাজের আয়না। গুণীজনদের সম্মাননা শুধু তাঁদের নয়, বরং পুরো জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি। নতুন প্রজন্ম এই সম্মাননার মাধ্যমে উৎসাহিত হবে।

 

সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পীরাও তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, অনেক সময় অবদানের পরও রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক গুণী মানুষ অবহেলিত হন। তবে এবারের আয়োজনটি ছিল স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং যথার্থ সম্মান প্রদান। এ ধরনের উদ্যোগ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলেও আশাবাদ জানান তাঁরা।

 

পরে লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone