শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা!

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা গরু ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। তিনি বছরখানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (২৭) কে থাপ্পড় দেন। সেই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে বুধবার (১১ জুন) বিকেলে কামালকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন হাফিজুল ইসলাম।

 

কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) তাঁর স্ত্রী মোছাঃ শিউলি বেগমের করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় করা হত্যা মামলায় হাফিজুল ইসলামসহ ৫জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আয়শা খাতুন (৫৫) ও আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামের দুই আসামিকে বুধবার (১১ জুন) রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস ও আয়শা খাতুন প্রধান আসামি হাফিজুল ইসলামের বাবা ও মা।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, বছরখানেক আগে হাফিজুল ইসলাম (২৭) ভেলাবাড়ীর ফারুক মিয়াকে মারধর করেন। এ সময় কামাল হোসেন (৪০) মারামারি থামিয়ে হাফিজুল ইসলামকে থাপ্পড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। থাপ্পড় মারার কারণে আসামিরা কামাল হোসেনের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কামাল নিজ বসত বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাড়ের নিচে কাঠের তৈরি বেঞ্চের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় অন্য আসামিদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় হাফিজুল ইসলাম কুড়াল নিয়ে কামালের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় কামালের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হাফিজুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

কামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, আমার স্বামী না হয় একটা থাপ্পড় দিছিল, সেই জন্য কি প্রতিশোধ নিতে তাকে এভাবে খুন করতে হবে? আমি এর বিচার চাই, আসামির ফাঁসি চাই।

 

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আকবর বলেন, এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone