শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত স্ত্রীসহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা লালমনিরহাটে ২৭ মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ডেভিল হান্ট অভিযানে লালমনিরহাটে ছাত্রলীগের সভাপতি আটক লালমনিরহাটে পাথর ভর্তি ট্রাক থেকে গাঁজা উদ্ধার কালীগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী আহসান গ্রেপ্তার লালমনিরহাটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফ্রি ক্যাম্পেইন-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নবীন বরণ ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ খ্রি. অনুষ্ঠিত
ইউএনওকে সাথে নিজে নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকালেন স্কুল ছাত্রী শাহিনা…

ইউএনওকে সাথে নিজে নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকালেন স্কুল ছাত্রী শাহিনা…

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিনা আক্তার। মোবাইল ফোনে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধে ইউএনও’র সহযোগিতা চান শাহিনা আক্তার। এ নিয়ে একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিনকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে হাজির হয়ে বাবা-মা’য়ের মুচলেকা নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ওই স্কুল ছাত্রী। এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী গ্রামে।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী ও উওর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার রাতেই হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। তার কাছে তেমন সহযোগিতা না পেয়ে শনিবার রাতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন শাহিনা। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।

রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমত শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও নিজ গাড়ীতে করে শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, রাতে খবর পাওয়া মাত্র আমি ওই স্কুলের শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সকালে মেয়েকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বাবা মায়ের সাথে কথা বলে শাহিনাকে তাদের কাছে দিয়ে এসেছি। শাহিনার বাবা মা মুচলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিবেন না।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone