শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা ইউপি সদস্যদের লালমনিরহাটে পাহাড়ি কলার বাম্পার ফলন পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সুপার বিলুপ্তির পথে তিস্তা ও ধরলা নদীর সুস্বাদু বৈরালি মাছ লালমনিরহাটে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঐতিহ্যবাহী শ্যামাপুজা (বুড়ির মেলা)কে ঘিরে সীমান্তে দু’দেশের মানুষের মিলন মেলা তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে- স্তব্ধ রংপুর কর্মসূচির ডাক কিশোরী ফুটবল টুর্ণামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত সম্ভাবনা ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা তারুণ্যের ভাবনা অনুষ্ঠিত র‌্যাবের অভিযানে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মহিলা মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
লালমনিরহাটে কৃষকরা পাট শাক চাষে ঝুঁকছেন

লালমনিরহাটে কৃষকরা পাট শাক চাষে ঝুঁকছেন

সোনালী আঁশ পাট। পাট অর্থকরী ফসল হিসেবে সুপরিচিত। সেজন্য কৃষকরা পাট চাষ করতেন। তবে বর্তমানে পাট চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ও বাজারে চাহিদা না থাকায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। এর ব্যতিক্রম নয় লালমনিরহাট জেলাও। কয়েক বছর আগেও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন-প্রান্তের কৃষকরা পাট চাষ করতেন। এখনও লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা পাট চাষ করেন। তবে এখন আর পাট তোলার জন্য নয়, বরং শাক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চাষ করেন। গত কয়েক বছরে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাট শাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরাও শাক চাষে ঝুঁকছেন।

 

আর শাক উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পাটের উৎপাদন। এতে কৃষকের পাশাপাশি সরকারও প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পুরোপুরি নির্বিকার।

 

জানা যায়, এবার লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন জায়গাজুড়ে দেশি, তোষাসহ বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকায় পাটের আবাদ বেশি হয় বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এসব স্থানে বিভিন্ন জাতের পাটের আবাদ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ কৃষকই পাটের আঁশের বদলে পাট শাককে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিবেরকুটি গ্রামের রেজাউল করিম নামের এক কৃষক বলেন, ১বিঘা জমিতে পাট উৎপাদনে চাষ, সার, বীজ কিনতে ব্যয় হয়েছে ২হাজার টাকা। জমিতে নিরানী খরচ হয় ২হাজার টাকা এবং পাট কাটা ও জাগ (পানিতে ভিজিয়ে রাখা) দিতে ব্যয় হয় ৩হাজার টাকা। ১বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে একজন কৃষকের মোট ব্যয় হয় ৭হাজার থেকে ৮হাজার টাকা। অথচ ১বিঘা জমিতে ভালো আবাদ হলে পাট পাওয়া যায় ৮মণ থেকে ৯মণ। গতবার উঠতি বাজারে মণপ্রতি ১হাজার ৭শত ১হাজার ৮শত টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাট চাষ করে লাভের বদলে পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় থাকতে হয়।

 

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে সমপরিমাণ জায়গায় পাট শাক আবাদ করলে লাভ হয় খরচের দ্বিগুণ। আর এতে করে এখন অনেকেই পাট শাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

 

একই কথা বলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের হয়রত আলী নামের আরেক কৃষক। তিনি বলেন, বাজারে পাটের চাহিদা না থাকায় আমাদের পাট চাষে আগ্রহ নেই। তবে পাটের শাকের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি। আর ১বিঘা জমি থেকে পাট শাক চাষ করে ৪০দিনের মধ্যে ফসল উৎপাদন করে তা বিক্রি করা যায়। এতে প্রায় ১৫হাজার থেকে ২০হাজার টাকার মতো আয় হয়।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, এবার জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে দেশি, তোষাসহ বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছে। নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে পাট পচানো ও নিড়ানোর অনিশ্চয়তায় পাট চাষের একটা বড় সমস্যা বলে মনে করেন অনেক কৃষক। তার পরেও জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু কিছু অংশে পাট চাষ হয়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, পাট শাক চাষের পাশাপাশি লাল শাক, পুই শাক ও কলমী শাকও চাষ ঝুঁকছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone