শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে পাহাড়ি কলার বাম্পার ফলন পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সুপার বিলুপ্তির পথে তিস্তা ও ধরলা নদীর সুস্বাদু বৈরালি মাছ লালমনিরহাটে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঐতিহ্যবাহী শ্যামাপুজা (বুড়ির মেলা)কে ঘিরে সীমান্তে দু’দেশের মানুষের মিলন মেলা তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে- স্তব্ধ রংপুর কর্মসূচির ডাক কিশোরী ফুটবল টুর্ণামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত সম্ভাবনা ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা তারুণ্যের ভাবনা অনুষ্ঠিত র‌্যাবের অভিযানে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মহিলা মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার লালমনিরহাটে নয়নাভিরাম ফুল “কচুরিপানা”
পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সুপার

পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সুপার

:: হেলাল হোসেন কবির :: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে এই এলাকায়। উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন এখন মাদককারবারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে ওই এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও উঠেছে হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ।

 

গোড়ল ইউনিয়নেই ৫০টির বেশি মাদকের নিরাপদ জোন তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিনই বাড়ছে মাদকের প্রবণতা। মাঝে মধ্যে নামে মাত্র পুলিশের অভিযানে কিছু মাদক উদ্ধার হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে।

 

সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গোড়ল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোস্তাকিম ইসলাম ও কনস্টেবল ফারুকের নাম উল্লেখ করে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, গত ৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ময়নার চওড়া বাজার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় ইনচার্জ মোস্তাকিম ঘটনাস্থলে আসে। তার আগমনে মাঠের একপাশে বসা কয়েকজন ব্যক্তি সরে যায়। পরে ইনচার্জ এসে কিছু না বলেই আমাকে ধরে মারধর শুরু করে। এরপর কিছুটা দূরে নিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দেয়।

 

তিনি আরও বলেন, ভয়ে আমি ২০হাজার টাকা দেই।

 

এ বিষয়ে ময়নার চওড়া বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী মহরম আলী (৫০) বলেন, সেদিন রাতে পুলিশের গাড়ি আসার কিছুক্ষণ পরই মারধরের শব্দ শুনেছি। কয়েকজন সরে গিয়েছিল। পরে জানতে পারি সাইদুলকে পুলিশ মারধর করেছে।

 

বাজারের রাইসমিল গোডাউন ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল (৪৫) বলেন, সেদিন কয়েকজন মাঠের একপাশে লুডু খেলছিল। পুলিশ আসতেই তারা পালিয়ে যায়। এরপরই সাইদুলকে ধরে পুলিশ এবং মারধর করে।

 

স্থানীয়া বলেন, গোড়ল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোস্তাকিম এক বছরের বেশি সময় ধরে গোড়ল তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন। শুরুতে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ভয় দেখাতো, এখন টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়িদের পক্ষে কাজ করে। অপরদিকে যারা মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এমন মানুষদেরকে নতুন করে মামলায় ফাসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। তার কাছে সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

 

এর আগেও ওই তদন্ত কেন্দ্রের একই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোফা নামের একজনকে ধাওয়া দিয়ে ধরে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিলো বলে স্থানীয়রা। নির্যাতিত ব্যক্তির তার নিকট মাদক বা অবৈধ কিছু না থাকলেও তাকে বেদম প্রহার করা হয়।

 

নির্যাতনের শিকার মোফা বলেন, বামনটারী চৌপথির হয়ে মোটর সাইকেল যোগে আসছিলাম। হঠাৎ ইনচার্জ মোস্তাকিম আমাকে ধাওয়া করে গাড়িতে লাথি দেয়। এতে গাড়ি আমি পড়ে গেলে আমাকে ধরে মারধর করে এবং ফাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া আগে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিডিও বক্তব্য নেয় পুলিশ।

 

গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি বগুড়াপাড়া ব্রীজের পশ্চিমে তৌহিদুল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। বাড়িঘর তন্নতন্ন করে খুঁজে কিছু পায়নি যা স্থানীয় অনেকেই দেখেছেন। পরে তার বাড়ির উত্তরে নদীপাড় থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই মাদকের কিছু তৌহিদুলের বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে দাবি করে পুলিশ এবং তার নামে মামলা দেয়।

 

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে গোড়ল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোস্তাকিম ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে মাদক ব্যবসায়ীরা সহ্য করতে পারছে না। আমি যোগদানের আগে ময়নারচওড়া এলাকায় মাদক বেশি ছিল, এখন কমে এসেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।

 

পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) তরিকুল ইসলাম।

 

উল্টো তিনি বলেন, গোড়ল ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে মাদকের সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

 

তিনি আরও বলেন, গোড়ল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি খতিয়ে দেখার কথাও বলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone