শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুটেছে ভাটিফুল লালমনিরহাটে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখলের চেষ্টা ও হামলা, থানায় অভিযোগ লালমনিরহাটে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার ১ লালমনিরহাটে ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা লালমনিরহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে লাপাত্তা অধ্যক্ষ; বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ! লালমনিরহাটে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে পাতা ঝরতে ঝরতে গাছগুলো পাতাহীন লালমনিরহাটে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের ভুট্টার রঙ্গিন ফুলের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গ্রামীণ রাস্তার পথচারীদের
নদী থেকে এক ভারতীয় যুবক, গৃহিনীসহ ৩জনের লাশ উদ্ধার : সকলের পরিচয় মিলেছে

নদী থেকে এক ভারতীয় যুবক, গৃহিনীসহ ৩জনের লাশ উদ্ধার : সকলের পরিচয় মিলেছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ৩টি লাশের পরিচয় গতকাল শনিবার ১৮ জুলাই মিলেছে। এরা হলেন- ভারতের সুভাষ রায় (৩৫), একরামুল (৩২) ও মাসুদা আক্তার (২৫)। লাশ ৩টি পোষ্টমডেমের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীর ধরলা নদীর ঘাটের পাড়ে শুক্রবার ১৭ জুলাই রাত ৯টায় এক ভারতীয় যুবকের অর্ধালুঙ্গ লাশ ভেসে আসে। গতকাল শনিবার ১৮ জুলাই লাশের ছবি ৬১বিজিবি বুড়িমারী ক্যাম্পের মাধ্যমে ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠানো হয়। ছবি দেখে নিহেতে বড়ভাই সুভেন্দ্র রায় সনাক্ত করে ভেসে আসা লাশটি তার ছোট ভাই সুভাষ রায়ের। সে ধরলা নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে ছিল। তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার সুভাষ নগরে। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পোষ্টমডেম ও সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিজিবি’র মাধ্যমে গতকাল শনিবার ১৮ জুলাই বিকাল ৫টায় বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।

 

শুক্রবার ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় তিস্তা নদী থেকে, বিকালে পাটগ্রামে ধরলা নদী থেকে ও সন্ধ্যায় হাতীবান্ধার সানিয়াজান নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এদিকে শুক্রবার ১৭ জুলাই রাত ৮টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের সানিয়াজান নদীর পাড়ে বালুর বাঁধের নির্জন এলাকায় বালু চাপা দেয়া অবস্থায় একরামুল (৩২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। তাকে হত্যা করে বালু চাপা দেয়া হয়ে ছিল। মৃত্যের গায়ের সার্ট দিয়ে পা বাঁধা ছিল।

 

নিহতের স্ত্রী মুনিরা বেগম জানান, ৮দিন আগে দুপুর ১২টার দিকে একটি মোবাইল ফোন পেয়ে সে বাড়ি হতে বেরিয়ে যায়। তারপর হতে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানায় ৩দিন আগে নিখোঁজ ডাইরী করে ছিল। মৃত একরামুলের বাড়ি একই ইউনিয়নের রমনিগঞ্জ গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত ওয়াজ উদ্দিন। এ হত্যার ঘটনায় একই এলাকার সামীম (৩৫), নুর হাই (৪০) ও অজ্ঞাত নামা সবুজ (২৮) নামের ৩যুবকসহ কয়েক জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ কাউকে  এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।

 

এদিকে শুক্রবার ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় তিস্তা নদীতে খুনিয়াগাছে অজ্ঞাত পরিচিত বোরকার পরিহিত নারীর লাশ ভেসে আসে। গতকাল শনিবার ১৮ জুলাই নারীর পরিচয় মিলেছে তার নাম মাসুদা আক্তার (২৫)। ৩/৪বছর আগে লালমনিরহাট জেলা সদরের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খুনিয়াগাছ গ্রামে বিয়ে হয়। তার স্বামী শেখ কামাল চট্রগ্রামে কাজ করে। সে চট্রগ্রামে অবস্থান করছে। নিহতের বাবা মুসা মিয়ার বাড়ি জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচায়। বাবা গতকাল শনিবার ১৮ জুলাই বিকাল ৫টায় তার মেয়ের লাশ সনাক্ত করে। মৃতের কারণ অনুসন্ধান চলছে। নিহতের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

 

পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, গুরুত্বসহ কারে নিহতদের মামলাগুলো তদারকি করছি। পোষমডেম শেষে লাশ বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone