শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
গ্রামীণ খেলাধূলা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

গ্রামীণ খেলাধূলা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

Exif_JPEG_420

কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক কিছুই। তেমনই হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধূলাও। অনুরূপভাবেই লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধূলা আজ বিলুপ্তির পথে। এখানকার অত্যন্ত জনপ্ৰিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল হা-ডু-ডু, ফুটবল, হেন্ডবল, কানামাছি, দাড়িয়াবান্দা, লুডু, কাবাডি ইত্যাদি খেলা কালের বিবর্তণে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ মাত্র ১০বছর হতে ১৫বছর আগেও প্রতিটি গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ মাঠ এমনকি ধান কাটার পর খালি মাঠে এবং বাড়ীর পাশের খালি জায়গায় পর্যন্ত চলতো বিশেষ করে হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার তীব্র প্রতিযোগিতা। এসব খেলায় স্বর্ণ-রোপ্য দিয়ে তৈরি কাপ এমনকি ছাগল (খাসি), গরু, রঙিন টেলিভিশন পর্যন্ত উপহার দেয়া হতো। কতোই না মজা হতো যখন এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রাম, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন কি বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার উৎসুক জনতা এ সব প্রতিযোগিতা দেখে কতই না আনন্দ উপভোগ করতেন।

 

শুধু যে গ্রামে তা কিন্তু নয়, শহরের ছোট ছোট ছেলেরাও হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো। এ সব খেলায় দূর-দূরান্ত থেকে ভালো ভালো খেলোয়ারকে আনা হতো পক্ষে খেলে দেয়ার জন্য যাকে স্থানীয় ভাষায় “হায়ার” বলা হয়। যাদেরকে খেলার জন্য হায়ারে আনা হতো তাদের খাওয়ানো হতো জামাই আদরে এবং দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা উপঢৌকন। অনুরূপ খেলা ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু। বর্তমান এই যুগে যার স্থান দখল করে নিয়েছে বলতে গেলে ক্রিকেট খেলা। এসব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে মনে হবে রূপকথার গল্পের মতো। সে সময়তো স্কুল- মাদ্রাসা-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে এসে নিয়মিত বিকালে বাড়ীর পার্শ্বে মাঠে, বাড়ীর উঠানে এ সব খেলা খেলতো। আজ আর সেই দিন নেই! নেই আগের সে সব গ্রামীণ খেলাধূলা। তবে এখন ও কিছু কিছু হা-ডু-ডু, ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা চোখে পড়ে। তাও কালেভদ্রে।

 

এ ব্যাপারে এক সময়ের হা-ডু-ডু খেলোয়াড় পঞ্চাশর্ধ্ব নায়েব আলী বলেন, আগের দিনে আমরা মৌসুমে প্রায় দিনই এ খেলা খেলতাম। আমি ভাড়ায়ও দূর-দূরান্ত গ্রামে খেলতে যেতাম। যেসব এলাকায় এ খেলার অনুষ্ঠান হতো সেই সব এলাকায় ঈদের মতো আমেজ বইতো। এখন আর আগের মতো হা-ডু-ডু খেলা দেখা যায় না। তাই তো হারিয়ে যাওয়া খেলাটির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের চর বড় বসুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিলুপ্তি প্রায় হা-ডু-ডু খেলা। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলকে ২০হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে ১০হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়। আয়োজক বড়বাসুরিয়া যুব উন্নয়ন ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্যরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কোনো খেলাধুলা নেই, তাই তো এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone