ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বছর এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন মোঃ লিয়াকত আলী। দীর্ঘ একাডেমিক সাধনা ও ধারাবাহিক গবেষণার ফলস্বরূপ তিনি এ ডিগ্রি লাভ করেন। মানবাধিকার ও সামাজিক অপরাধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নারী ও শিশু পাচার ছিল তার গবেষণার মূল বিষয়, যা বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি ক্ষেত্র।
শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই লিয়াকত আলী ছিলেন মেধাবী, পরিশ্রমী ও লক্ষ্যনিষ্ঠ। তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর উচ্চতর গবেষণার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এমফিল কোর্সে ভর্তি হন।
২০১৭ সালে আমেরিকান সরকারের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি নেতৃত্ব (Leadership) বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত এ প্রশিক্ষণে তিনি নেতৃত্ব, জনসম্পৃক্ততা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন। দেশে ফিরে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজ জেলায় তরুণদের ক্ষমতায়নে উদ্যোগী ভূমিকা পালন শুরু করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (SWA)—যা শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমুখী কার্যক্রমে কাজ করছে।
বর্তমানে মোঃ লিয়াকত আলী ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসিতে সিনিয়র এডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)–এ মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রমে তিনি দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়োজিত ছিলেন।
একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি গবেষণা, লেখালেখি ও সমাজকল্যাণমূলক কাজেও তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। শিক্ষকমণ্ডলী ও সহকর্মীরা মনে করেন—তার এই অর্জন কেবল ব্যক্তিগত নয়; বরং সমাজ ও দেশের জন্য এক গৌরবজনক সাফল্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “লিয়াকত আলী আমাদের তরুণ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার নাম। তার নেতৃত্বগুণ ও গবেষণা নতুন প্রজন্মকে সাহস জোগাবে।”
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, “এমফিল ডিগ্রি আমার জন্য শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়; বরং গবেষণা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার নতুন সুযোগ। ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর গবেষণায় যুক্ত হয়ে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে চাই।”
শিক্ষা, গবেষণা ও নেতৃত্ব—এই তিন ক্ষেত্রেই তার অবদান নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রত্যাশা—তার কর্মযজ্ঞ ও নেতৃত্ব ভবিষ্যতে দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সমৃদ্ধ করবে।