শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কবি সাহিত্যিকগণের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শীতার্ত, অসহায় দরিদ্রদের মাঝে- শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭)-২০২৫ এর জেলা পর্যায়ে খেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত এক বেলা খাবারের আবেদন প্রসঙ্গে কৃষক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন গণকমিটির সদস্য সচিব এর প্রতিক্রিয়া লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সম্পত্তি ক্রোক করে বিজ্ঞপ্তি সংবলিত ব্যানার ঝুলাল প্রশাসন লালমনিরহাটে লিপিকা দত্ত এর দূর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট সাংবাদিককের দুই পা কর্তন! লালমনিরহাটের কৃষকেরা বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে! লালমনিরহাটে সু-স্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ভাগিনার প্রেমে মামী পাগল; ভাগিনা শ্রীঘরে

ভাগিনার প্রেমে মামী পাগল; ভাগিনা শ্রীঘরে

নিজ ভাগিনার সাথে দীর্ঘ ২বছরের প্রেম মামীর, পরে তা দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়িয়েছে। একাধিকবার ধরা খেয়ে শালিস বৈঠকে দোষী সাভ্যস্থ হওয়ার পরও মামী ভাগিনার প্রেমকে দমায় রাখতে পারেননি কেউ। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না ভাগিনা নুরুজ্জামান (৪৫)। বেরসিক জনগণের হাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেয়ে যেতে হলো জেল হাজতে।

 

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লারমোর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট আদিতমারী থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়েরের পর ভাগিনা নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোক্তারুল ইসলাম।

 

গ্রেফতার নুরুজ্জামান লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর এলাকার নুরল হকের ছেলে এবং চন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেও জানা গেছে।

সারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, দীর্ঘ ৮বছর আগে সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লারপাড় এলাকার মামি রুমীর সাথে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আপেল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। ইতিমধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর আপেলের আপন ভাগিনা মোঃ নুরুজ্জামানের কুনজর পড়ে তার মামী রুমীর উপর। ভাগিনা অর্থবান হওয়ায় মামা আপেল মিয়াকে সুকৌশলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তার মামীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করান মামীকে। ভাগিনার ভয়ভীতির কারনে এক পর্যায়ে ভাগিনার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মামী রুমী বেগম। মামা জেল হাজতে থাকার সুযোগে ভাগিনা প্রতিদিন মামীর সাথে রাত্রী যাপন করতে থাকেন। এরই মধ্যে মামা আপেল মিয়া বেড়িয়ে আসেন। এরপরেও মামা বাড়িতে না থাকলে খোঁজ খবর নিয়ে ভাগিনা নুরুজ্জামান চলে যান মামীর কাছে। শুরু হয় দুজনের মধ্যে আদিম খেলা। এক পর্যায়ে ভাগিনার এমন ভালবাসায় মামী আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। ভাগিনা নুরুজ্জামান অর্থবান হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে মামীর জন্য নানা রকম লোভনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেতেন। বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে একাধিকবার বিচার সালিসও হয়। সালিশে মিমাংসার কিছুদিন পর আবারও শুরু হয় তাদের প্রেমের সম্পর্ক। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বামী আপেল মিয়া তার স্ত্রী রুমিকে তার বাপের বাড়ি আদিতমারী উপজেলার সারপুকুরে পাঠিয়ে দেয়।

 

তিনি আরও বলেন, এরপর হতে প্রায় ১বছর ধরে সারপুকুরে বাপের বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন মামী রুমী। বাবা বাড়িতে যাওয়ার কিছুদিন পর মামী-ভাগিনার মধ্যে যোগাযোগ স্বাভাবিক হলে সেখানে অবাধে চলে নুরুজ্জামানের যাতায়াত। বিষয়টি এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা নুরুজ্জামানে আসার অপেক্ষায় থাকেন এবং বৃহস্পতিবার তাদের দুজনকে মামী রুমির থাকার ঘরের মেঝেতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন ভাগিনা নুরুজ্জামান ও মামীকে।

 

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোক্তারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিম ও আসামীকে থানায় নিয়ে আসার পর নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পরে আটক নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone