শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিনব্যাপী বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে কাব হলিডেতে “শেখ হাসিনার” সাক্ষরযুক্ত সনদ বিতরণ লালমনিরহাট জেলা সমিতি ঢাকা’র উন্নয়ন ও করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শোভাবর্ধন করেছে জবা ফুলগাছ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গ্রেফতার লালমনিরহাটের সাংবাদিকের পিতা মরহুম আফজাল হোসেনের কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রোপা-আমন ধান ও সবজি ক্ষেত লালমনিরহাটে কোদালখাতা প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নানামূখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন, সুষ্ঠ তদন্তের দাবি
লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ছাড়া এমদাদুল হক

লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ছাড়া এমদাদুল হক

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ করে দোকান ও বাড়ি ছাড়া হয়েছেন এমন অভিযোগ বড়খাতা বাজারের এমদাদুল হক নামে এক ব্যবসায়ীর।

 

তার অভিযোগ, গত ২৯ জুলাই তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ওই চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ মারধর করে ১০টি জমির দলিলে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ করলেও ৪দিনেও কোনো ব্যবস্থা নেইনি পুলিশ। এখন চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে বাজারে ব্যবসা করা তো দুরের কথা বাড়ি ছাড়াও হয়েছেন তিনি।

 

তবে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া ও তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালাল পাড়া গ্রামের তরিমুদ্দিনের পুত্র এমদাদুল হকের বড়খাতা বাজারে একটি যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বড়খাতা বাজারে তার দোকানের পাশে একটি চায়ের দোকান থেকে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের হুকুমে শফিকুল ইসলামসহ ৩জন গ্রাম পুলিশ এমদাদুল হককে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ তাকে মারপিট করে ১০টি জমির দলিলে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নেয়। এবং বড়খাতা বাজারে ব্যবসা করতে দিবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

 

এ ঘটনায় এমদাদুল হক বাদি হয়ে গত ২৯ জুলাই বাদী হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন ও হাতীবান্ধা থানায় ২টি পৃথক পৃথক অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু অভিযোগ দেয়ার ৪দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেইনি পুলিশ এমন অভিযোগ এমদাদুল হকের।

 

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে তিনি বড়খাতা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছে না। এমন কি গতকাল রাতে তার বাড়ি গিয়েও তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায়। তিনি এখন ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন।

 

তবে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ওই এমদাদুল হক কোথায় দোকান করেন তা আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর তার সাথে আমার দেখাই হয়নি। তাকে আমি হুমকি দিবো কি ভাবে?

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone