শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
লালমনিরহাটে ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন

লালমনিরহাটে ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: এবার লালমনিরহাটে ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও দেশীয় জাতের এসব ঢেঁড়স স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে ঢেঁড়সের দাম ভালো পেয়ে চাষিরা খুশি। ইরি-বোরো ধানের পরিবর্তে ঢেঁড়স চাষ লাভজনক হওয়ায় বিগত এক দশক ধরে লালমনিরহাটে ঢেঁড়সের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। পতিত জমিতেও আবাদ হচ্ছে ঢেঁড়স। ঢেঁড়স চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাইকারি বাজারে প্রতিমণ (৪০ কেজি) ঢেঁড়স এখন বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৫শত হতে ১হাজার ৬শত টাকায়। এই হিসেবে ৪০ হতে ৪৪টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভা এলাকায় চলতি মৌসুমে এবারে ব্যাপক ঢেঁড়সের আবাদ হয়েছে। দেশি ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল জাতের ঢেঁড়স উৎপাদন হচ্ছে। লালমনিরহাটের মাটি ঢেঁড়স চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এই এলাকায় ঢেঁড়সের আবাদ বেড়েই চলেছে। ইরি-বোরো ধান আবাদ করে চাষিরা কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় তাঁরা এখন ঢেঁড়স আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ঢেঁড়সের মৌসুম। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ মণ ঢেঁড়স হয়। মৌসুমের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত চাষিরা এক বিঘা জমি হতে ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকা উপার্জন করেন।

 

চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা।

 

চাষিরা আরও জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় ঢেঁড়সে কীট-পতঙ্গের আক্রমণ কিছুটা কম। শ্রমিক ও সারের খরচও অপেক্ষাকৃত কম। বাড়ির নারীরাও এসে সহজে ঢেঁড়স তুলতে পারেন। এতে শ্রমমূল্য সাশ্রয় হয়। স্থানীয় মোকামে আনার পর ব্যাপারীরা নগদ টাকায় ঢেঁড়স ক্রয় করেন। ফলে চাষিদের ঢেঁড়স বিক্রি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজারে রয়েছে ঢেঁড়সের সবচেয়ে বড় মোকাম।

 

চাষিরা জানান, গত বছরও ঢেঁড়সের দাম ভালো ছিল। এবারও তাঁরা ভালো দামে ঢেঁড়স বিক্রি করছেন।

 

গোশালা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গত মার্চ থেকে ঢেঁড়সের আমদানি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও বস্তা বোঝাই করে চাষিরা বিক্রির জন্য গোশালা বাজারে ঢেঁড়স নিয়ে আসছেন।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, সম্ভাবনাময় ও লাভজনক হওয়ায় এখানে ঢেঁড়সের আবাদ বাড়ছে। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ঢেঁড়সের ফলন হয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone