শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মৌমাছি ও মৌচাক! লালমনিরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কগণের সফর উপলক্ষ্যে- সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাদিই জানেনা ঢাকার ঘটনায় লালমনিরহাটের সাংবাদিক আসামি; বাদি ও সাক্ষির দুঃখ প্রকাশ! লালমনিরহাটে আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের! স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও লালমনিরহাটের খোরারপুলে হয়নি সেতু! লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হাত বদলে বাড়ে সবজির দাম; বঞ্চিত হন লালমনিরহাটের চাষিরা! ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি; মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলো যুবক! বিজিবি ও ছাত্রজনতা স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত রাস্তা মেরামত!
৪৯বছর পর প্রয়াত এনএসআই সদস্যের বাড়িতে পাওয়া গেছে তাঁর মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র : পরিবারের স্বীকৃতির দাবী

৪৯বছর পর প্রয়াত এনএসআই সদস্যের বাড়িতে পাওয়া গেছে তাঁর মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র : পরিবারের স্বীকৃতির দাবী

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে এক প্রয়াত এন এস আই সদস্যের বাড়িতে তাঁর মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র পাওয়া গেছে। আর এখন পরিবারের দাবী প্রয়াত এই এনএসআই সদস্যকে মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

 

জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন প্রয়াত এনএসআই সদস্য শাহজাহান আলী মিলনের পরিবার।

আর সে বাড়ির একটি আলমিরা থেকে পাওয়া গেছে ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি সনদ আর তাতে লেখা আছে “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দেশ রক্ষা বিভাগ, স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র নাম মোঃ শাহজাহান আলী মিলন। ২৭-১২-১৯৫৪ইং পিতার নাম মোঃ আবু তালেব প্রাঃ। গ্রামঃ ঝুরঝুরি, থানাঃ তারাশ, জেলাঃ পাবনা। স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর সৈনিক ৪নং ব্যাটালিয়ন ৪নং কোম্পানির অংশগ্রহণ করিয়া প্রাণপন যুদ্ধ করিয়াছে অতএব আমি তাঁর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল কামনা করি ইতি ৪নং ব্যাট্যালিয়ন, অধিনায়ক ৪নং কোম্পানী। তাং-৫/৩/১৯৭২।

আরেকটি সনদে লেখা রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামঃ মোঃ শাহজাহান আলী মিলন, পিতাঃ আবু তালেব প্রাঃ, গ্রামঃ ঝুরঝুরি, থানাঃ তারাশ, জেলাঃ পাবনা অসহযোগ আন্দোলনের সময় উপরোক্ত ছেলে আমার স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীতে যোগ দেয় এবং দেশের ও দশের জন্য প্রাণপণে যুদ্ধ করেছেন।

প্রয়াত এই এনএসআই সদস্য জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলাধীন তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি গ্রামে। যুদ্ধকালীন সময় ছিলেন নানার বাড়িতে। তার ২ মামাও বীরদর্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামে।

 

জনশ্রুতি আছে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তাঁর নানার বাড়িতে পাক-হানাদার বাহিনী আগুন লাগিয়ে গোটা বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল।

 

তাঁর স্ত্রী ফজিলা খাতুন খালাতো বোন হওয়ায় পূর্ব পরিচিত ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

 

শাহজাহান আলী মিলনের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চাকরি জীবনে তিনি রংপুর অঞ্চলের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ রংপুর শহরেও দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করেছিলেন।

 

তিনি আরও সাংবাদিকদের জানান, এনএসআই এ কাজ করার জন্য মাঝে মাঝেই খুঁজে পাওয়া যেত না তাকে। দেশের জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনের পর বীরদর্পে এনএসআইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করার পরে তাঁর মৃত্যুর পর এখন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা দাবি করি তাঁকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

 

বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ সাংবাদিকদের জানান, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে খোঁজ করে ওই সনদ সঠিক কি না তা যাচাই-বাছাই করে সেখানকার কমান্ড ব্যবস্থা নিতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone