শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আসন্ন শারদীয় শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগান বিলাস! লালমনিরহাটে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে র‍্যালি বাস্তবায়নে যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে রেলওয়ের জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ! লালমনিরহাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষক ইসলামে শিশুর অধিকার লালমনিরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এর মাঠ পরিদর্শন! লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মৌমাছি ও মৌচাক!
লালমনিরহাটের বিভিন্ন চরের মানুষের হাজারও সমস্যা

লালমনিরহাটের বিভিন্ন চরের মানুষের হাজারও সমস্যা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি নদী, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর চরে বসবাসকারী পরিবারগুলো শত সমস্যা নিয়ে বসবাস করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি বিষয়ে অনভিজ্ঞ, নদীভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বন্যা, খড়া, শীত, চোর-ডাকাত, অশিক্ষা-কুশিক্ষার সাথে লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকা এই মানুষগুলো জানালেন তাদের সমস্যা সংকট ও নিরসনের কথা।

 

ভূক্তভোগীরা বলেন, ৫ম শ্রেণী পাস করার পর আর পড়াশোনা করার সুযোগ পায় না ওই চরের শিশুরা। হাইস্কুল, মাদ্রাসা না থাকায় প্রাথমিকের দরজা পার হওয়ার পর ইচ্ছা থাকলেও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের সন্তানরা। তাই তারা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান। ওই চরের মানুষ কৃষি নির্ভর জীবনযাপন করলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বা কৃষির সাথে সম্পৃক্ত কেউ কোনদিন ওই চরের খোঁজ নেন না। তাই নিজেদের মতো করে কৃষি চাষাবাদ করছেন এতে করে ফলন ভালো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন। নিয়মিত তাদের এলাকার কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দাবি জানায়।

 

চরে বসবাসকারী বাসিন্দারা বলেন, শিক্ষার বাধার কারণে তাদের পরিবারের লোকজন শিশুদের বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতনসহ নানা সমস্যায় পড়ে থাকেন।

 

তারা বলেন, এসব চরাঞ্চলে মাতব্বরদের কথার উপরে কেহ কথা বলার সাহস পায়না। মাতব্বরদের বিচারে বিপক্ষে কেউ মুখ খুললে তাকেও শাস্তি পেতে হয়। বিনোদন বলতে স্থানীয় যুবকদের নাটক করা, আবার অনেকেই যাত্রা নিয়ে আসে সেখানে আবার চলে ছয়গুটি জুয়া। জুয়া খেলা চললে অনেকেই টাকা হেরে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। এসব চরে বিদ্যুৎ নেই, ফলে তারা টিভি দেখতে পারে না। দেশের খবর শুনতে পারেনা। বর্তমানে মোবাইল ফোনের মেমরিতে গান তুলে বা ভিডিও অনুষ্ঠান তুলে পরিবারের লোকজন নিয়ে টিভির পরিবর্তে তারা দেখে। তারপরেও ব্যাটারি চার্জ সমস্যা। দু’চারটে বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ রয়েছে। তাই তারা সরকারি বা বেসরকারিভাবে সবার বাড়িতে সৌর বিদ্যুতের দাবি করেন।

 

নৌকা নির্ভর যাতায়াত ব্যবস্থায় গর্ভবতী মা ও শিশুরা জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি জটিল রোগীদের চৌকিতে শুয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে লম্বা বাঁশের দু’পাশের চারজন কাঁধে নিয়ে জরুরি রোগী আনা নেয়ার কাজ করে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণেই তারা হাসপাতালে যাবার পূর্বেই অনেক স্বজন হারান। প্রতিমাসে সেখানে একটি মেডিকেল টিম পাঠানোর অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।

 

পরিবার পরিকল্পনার মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা ওই চরের সাথে যোগাযোগ না রাখায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে না ওই চরের নারী-পুরুষ। ফলে প্রায় প্রতিটি পরিবারে ৬-১০জনের অধিক সদস্য দাঁড়িয়েছে।

 

আরও জানা যায়, চরের বাসিন্দারা খরার সময় যেমন রোগী নিয়ে যাতায়াতের সমস্যায় পড়েন তেমনি বর্ষাকালে বন্যার সময় খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। ফলে তাদের অভাব লেগেই থাকে। এছাড়াও চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প এ অপারেশনের ব্যবস্থা থাকলে চরের দরিদ্র মানুষেরা অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ভাবে অনেক উপকৃত হবে। গুরুত্বর অসুস্থ্য রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে স্পিডবোট, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চরে আবাসিক ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট চরবাসী মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone