গাইবান্ধায় ১৩বছরের স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা; এজাহারনামীয় প্রধান আসামি র্যাবের যৌথ অভিযানে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
রোববার (১৬ নভেম্বর) র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৩ সিপিএসসি রংপুর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।
বাদীর এজাহার থেকে জানা যায় যে, আসামি মোঃ সজিব মিয়া (২০) পাড়া প্রতিবেশী সম্পর্কে ভিকটিমের ফুফা হয়। সেই সুবাদে ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত আসামি মাঝে মধ্যে মোবাইলে কথা বলতো।এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত আসামি প্রতিবেশী এর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে কথা বলেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ০০.১০ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত আসামি সুকৌশলে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে সুন্দরগঞ্জ থানাধীন পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামস্থ জনৈক শ্রী চিত্ত রঞ্জন প্রামানিক (চিতু) এর বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে প্রধান আসামি এবং অন্যান্য আসামিগণ রাত ০০.৩০ঘটিকায় ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯/৩০০, তারিখ-৫/৯/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০২৫) এর ৯(৩) ধারা।
ঘটনাটি উক্ত এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামি গ্রেফতারে সচেষ্ট হয়।
ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে আসামিগণ চতুরতার সাথে আত্মগোপনে ছিলো। আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধা এবং র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভার ক্যাম্প এর যৌথ আভিযানিক দল শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৯টা ৫০মিনিটে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া এলাকা হতে উক্ত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার দক্ষিণ ধুমাইটারী এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মোঃ সজিব মিয়া (২০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও এই ধরণের প্রতিটি ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যাসহ সকল অপরাধ প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য দৃঢ়প্রত্যয়ের সাথে কাজ করছে এবং চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’- এই মূলমন্ত্রকে বুকে ধারন করে এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন চাঞ্চল্যকর হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকে।