লালমনিরহাটের পাটগ্রামে প্রথম স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান থাকার পরেও অবিবাহিত পরিচয়ে বিয়ে করেছে স্বামী নাহিদ রানা।
এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রীর শিমু আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খারিজা জোংড়া গ্রামে।
জানা যায়, লালমনিরহাটের খারিজা জোংড়া গ্রামের মোঃ মফিজুল ইসলামের পুত্র নাহিদ রানা (২৩) এর সাথে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্টে লালমনিরহাটের কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সমশেরপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের কন্যা শিমু আক্তার (২১) এর সাথে ৬লক্ষ ২৫হাজার ৫শত ২৫টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিবাহর মজলিসে যৌতুকলোভৌ স্বামী নাহিদ রানা যৌতুকের ৫লক্ষ টাকা নগদ দাবি করিলে, শিমুর বাবা মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া, ধার-দেনা করিয়া নগদ ৪লক্ষ টাকা প্রদান করিলে বিবাহ সম্পুর্ন হয়। এবং স্বর্ণের গলার হার ও লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন। এরপর শিমু স্বামীর বাড়িতে গিয়ে সংসার শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই গর্ভবতী হন। কিন্তু যৌতুকলোভী স্বামী ও শ্বশুর পুনঃরায় শিমুর বাবার নিকট হতে যৌতুক বাবদ আরও ২লক্ষ টাকা আনিতে বলেন। উক্ত টাকা আনিতে অসম্মত্তি প্রকাশ করিলে শ্বশুর ও শাশুড়ীর কু-পরামর্শে যৌতুকলোভী স্বামী নাহিদ রানা তার স্ত্রী শিমুর সাথে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকে, অতঃপর যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী নাহিদ রানা, বাবার বাড়িতে শিমুকে রাখিয়া আসেন। শিমুর বাবা গরীব হওয়ায় উক্ত ২লক্ষ টাকা সংগ্রহ করিতে না পারিয়া একাধিকবার নাহিদকে বাকি যৌতুকের টাকা ছাড়াই ঘর সংসার করার জন্য অনুরোধ করেন, কিন্তু যৌতুকলোভী স্বামী কোন ভাবেই রাজি না হয়ে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ রেখে বাবা-মার কু-পরামর্শে স্ত্রী ও সন্তান রেখে অবিবাহিত পরিচয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা গ্রামের জান্নাতি নামে এক মেয়েকে বিবাহ করে। পরে উক্ত বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করিয়া বিজ্ঞ আদালতে শিমু মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শিমু আক্তার জানান, আমার বাবা গরিব মানুষ তাহার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি, তাই আমার সংসারও করা হয়নি। আমি সংসার টিকে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার স্বামী আমাকে এবং আমার সন্তানকে রেখে অবিবাহিত পরিচয়ে বিয়ে করেন। পরে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি আদালতের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে নাহিদ রানা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।